ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বুয়েটছাত্র ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে: চিকিৎসক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২২
বুয়েটছাত্র ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে: চিকিৎসক

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শেখ ফরহাদ জানিয়েছেন, নিখোঁজের দুই দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ওরফে পরশ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তার মাথার বিভিন্ন অংশে একাধিক আঘতের চিহ্ন ও বুকের ভেতরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

 প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হতে পেরেছি, এটি নিশ্চিত হত্যাকাণ্ড।  

তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ফারদিনের পুরো ময়নাতদন্ত শেষে আমরা প্রতিবেদন দ্রুততম সময়ে দিয়ে দেব।  

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান ডা. শেখ ফরহাদ।

এর আগে রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পরে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরে পকেটে থাকা মোবাইল ফোনের সিম দিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ শনাক্ত হয়।

সোমবার (০৭ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম। এর আগে শনিবার (০৫ নভেম্বর) পরিবারের পক্ষ থেকে রামপুরা থানায় নিঁখোজের একটি জিডি করা হয়।

ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, গত ০৫ নভেম্বর বুয়েট শিক্ষার্থীর বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা থানায় হাজির হয়ে ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে ফারদিন বুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ৩য় বর্ষের ছাত্র। গত ৪ নভেম্বর ৩টার দিকে তিনি ফারদিন নিজ ভাড়া বাসা কোনাপাড়া ডেমরা থেকে বুয়েট হলের উদ্দেশে বের হয়। গত ০৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় বুয়েটে তার একটা পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তিনি জানতে পারেন যে ফারদীন সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।

তারপর ফারদীনের মেয়ে বন্ধু বুসরার সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে, ফারদিন তার সঙ্গে রিকশা করে এসে রামপুরা ট্রাফিক বক্সের সামনে নেমে যায়। এর পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে রামপুরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

ওসি আরও জানান, জিডি হওয়ার পর থেকে রামপুরা থানা পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়র্টার্স, আইএডি ও ডিবির বিভিন্ন অফিসার একনিষ্ঠভাবে তদন্ত শুরু করে। পরে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রামপুরা থানা থেকে ফারদিনের নম্বরে ফোন করলে রিং হয়। অপর প্রান্তে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-পুলিশের (এসআই) মো. মনির হোসেন ফোন রিসিভ করেন। তিনি জানান যে, সেই নম্বরটি একটা মরদেহের পকেটে থাকা মোবাইলের সিম। তাৎক্ষণিক মরদেহটির ছবি পাঠাতে বলা হলে ভিকটিমের মেজ ভাই তাজিম (২১) ছবি দেখে ফারদিনকে শনাক্ত করেন। অতঃপর বিষয়টি  কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। জিডি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রামপুরা থানা পুলিশের কাছে আছে বলেও জানান ওসি রফিকুল ইসলাম।

ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মেধাবী ছাত্রদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছে। এ কোন অবস্থা শুরু হয়েছে। আগে শুনতাম আজ আমার ছেলে হারালাম। আমি তো আর আমার সন্তানকে ফিরে পাবো না। তবে আর কোনো বাবা যেন সন্তান না হারায় সে জন্য আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২২
এমআরপি/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।