ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কলেজছাত্রী নিখোঁজ, ২৮ দিন পর অপহরণ মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
কলেজছাত্রী নিখোঁজ, ২৮ দিন পর অপহরণ মামলা

বরগুনা: বরগুনার সদর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে ঘটনার ২৮ দিন পরে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (০৯ নভেম্বর) সকালে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।

বিচারক মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআই পটুয়াখালীকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযুক্ত হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া গ্রামের দুলাল গাজীর ছেলের সাদিকুল গাজী, লালু গাজীর ছেলে দুলাল গাজী, আছমত আলীর খানের ছেলে আলম ও কালাম খানের স্ত্রী রহিমা।

জানা গেছে, বাদীর মেয়ে বরগুনা মহিলা সরকারী কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনা করেন। কলেজ শেষে বাসায় যাওয়া-আসার পথে সাদিকুল গাজী প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতো। ওই কলেজছাত্রী বিষয়টি তার বাবা-মাকে প্রথমে জানান। তারা সাদিকুল গাজী ও তার পরিবারে অভিযোগও দেন। এতে সাদিকুল গাজী ও তার বাবা মা অপমান বোধ করেন এবং সাদিকুল গাজী অপমানের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।

এরই জের ধরে ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় কলেজছাত্রী বাসায় যাওয়ার পথে বরগুনা শহরের নাথ পট্টি লেকের পূর্ব পাশ থেকে সাদিকুল গাজী ও কয়েকজন বখাটে কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

বিষয়টি ওই ছাত্রীর বাবা জানতে পেরে তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু না পেয়ে সাদিকুল গাজীর বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে তার মেয়ের সন্ধান চান। কিন্তু তারা ওই কলেজছাত্রীর বাবা-মাকে উল্টো অপমান করেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজছাত্রীর মা গত ১৪ সেপ্টেম্বর বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন।

স্কুলছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়েকে সাদিকুল গাজী অপহরণ করে কোথাও আটক করে রেখেছে। আমার মেয়ে একদিন ফোন করে বলেছে সাদিকুল গাজী আমাকে আটক করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। সাদিকুল গাজীর মা বাবা সব কিছু জানেন। তারা আমার মেয়েকে অপহরণে সহায়তা করেছেন। আমরা মেয়েকে কোথাও খুজে না পেয়ে ৬ নভেম্বর বরগুনা থানায় মামলা করতে যাই কিন্তু তারা মামলা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা করেছি। ২৮ দিনেও আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে খুঁজে পাইনি। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না। আসামি সাদিকুল গাজীর ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।

বরগুনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে কিন্তু তারা মামলা করতে চাননি। মামলা করতে চাইলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হতো। বাদীর অভিযোগ সত্য নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।