ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন ‘কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না’ কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে খাদ্য সরবরাহ করছে সরকার। একই সঙ্গে সামাজিক সুরক্ষাবলয়ের আওতায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাসহ ডিজিটাল ব্যবস্থাদির ব্যবহার সফল হয়েছে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত কমসেক ‘দ্য স্ট্যান্ডিং কমিটি ফর ইকোনমিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল করপোরেশন অব দ্য অরগানাইজেশন অব দ্য ইসলামিক করপোরেশন’ এর ৩৮তম বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ এর পক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
ইস্তাম্বুলে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ব মহামারি কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট আর্থ-সমাজিক সমস্যা থেকে বাংলাদেশের জনসাধারণকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার প্রণোদনা প্যাকেজ এর মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে সফল হয়েছে। এর সুফল বাংলাদেশের মানুষ এখন ভোগ করছে।
তিনি বলেন, জনসাধারণের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের জন্য সরকার ২৮টি আর্থিক ও স্টিমুলাস প্যাকেজ গ্রহণ করেছে। সরকারের ‘কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না’ কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে গৃহহীন জনসাধারণের জন্য গৃহনির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জনসাধারণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিত হবে।
প্রসঙ্গত, কমসেক-এর এ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ‘কোভিড ১৯ এর অভিঘাত মোকাবিলায় কার্যকর সামাজিক সহায়তা ও আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নে সহযোগিতা প্রদান’। ৫৭ সদস্য বিশিষ্ট ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি) এর চারটি স্ট্যান্ডিং কমিটির মধ্যে কমসেক উল্লেখযোগ্য এটি ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার জন্য গঠিত অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। ৩৮তম কমসেক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি কমসেক এর বর্তমান চেয়ারম্যান।
আগামীকাল ২৯ নভেম্বর মিনিস্ট্রিয়াল ডিক্লেরেশন এর মাধ্যমে কমসেক মন্ত্রী পর্যায়ের ৩৮তম সম্মেলন শেষ হবে। এর আগে ২৬-২৭ নভেম্বর তারিখে ইস্তাম্বুলে সিনিয়র কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তিন সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস
