ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর মান ক্ষুণ্নের অভিযোগে আ.লীগ নেতার নামে মামলা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর মান ক্ষুণ্নের অভিযোগে আ.লীগ নেতার নামে মামলা 

বরগুনা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যদি আমতলীতে কোনো প্রোগ্রাম করেন তাহলে মেয়রের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। আমতলীর এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাইরাল হওয়া এমন এক বক্তব্যের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করেছেন স্থানীয় আরেক আওয়ামী লীগ নেতা।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) আমতলীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার ঘটখালী ইউনিয়নের আলতাফ হাওলাদার।  

মামলায় অভিযুক্ত আব্দুস ছালাম মোল্লা একই উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।  

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচন উপলক্ষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে নৌকা প্রতীকের এক সভায় আব্দুস ছালাম মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমতলীতে আসেন, কোনো প্রোগ্রাম করেন, তাহলে আমতলীর যিনি মেয়র, তার কাছ থেকে ওই তারিখের তিনি পারমিশন নেন। এটা আপনারা জানেন কি-না জানি না। ওই তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সভা হলে তার (মেয়র) কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। তারপর প্রোগ্রাম সিলেক্ট হয়। ’ ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য নাশির মোল্লা ও মতিয়ার রহমান হাওলাদারসহ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা ইতোমধ্যে এ নিয়ে নিন্দার ঝড় এবং দ্রুত তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বাদী আলতাফ হাওলাদার বলেন, এ বক্তব্যের কারণে প্রধানমন্ত্রীর মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই আইনের আওতায় তার শাস্তি হওয়া দরকার বলে মনে করে মামলাটি করেছি।

আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, নৌকা প্রতীকের সভায় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বক্তব্যে দলের চেইন অব কমান্ড বুঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রোগ্রাম করতে হলে পৌর মেয়রের অনুমিত লাগবে এটা কেমন কথা! পুরো ভিডিও শুনলে বোঝা যেত তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন।

তবে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান বলেন, এত বড় ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য তিনি কেন দিয়েছেন তা জানা নেই। বিষয়টি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগকে জানানো হয়েছে। তারা যে পদক্ষেপ নিতে বলবেন সেই অনুসারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আঠারোগাছিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম সোহেল মোল্লা বক্তব্যের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আসলে নেতিবাচক কিছু বোঝাতে চাইনি। বোঝাতে চেয়েছি প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবারই খোঁজ খবর রাখেন। কিন্তু বিষয়টি বলতে গিয়ে একটু অন্যরকম হয়ে গেছে। এজন্য আমি দুঃখিত।

আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বক্তব্যটি আমি শুনেছি। তবে বক্তব্যে কিন্তু কারো নাম স্পষ্ট করেননি। তাই এ বিষয়ে আপাতত আমি কিছু বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা ১১৩০, মার্চ ১০, ২০২৩
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।