লক্ষ্মীপুর: নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. ইউছুফ আলী ওরফে নিশাত সেলিমকে হত্যা করা হয় ২০১৪ সালের ২৭ জুলাই। এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ১৩ বছর আত্মগোপনে ছিলেন অন্যতম আসামি আব্দুর রহমান বাবুল।
হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পর মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের দুর্লভপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বাবুল লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের তিতারকান্দি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।
রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিশাত সেলিম হত্যা মামলায় বাবলু গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে৷
র্যাব ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিহত সেলিম লক্ষ্মীপুরের তিতারকান্দি গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। কিন্তু তিনি নোয়াখালীতে থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। তিনি নোয়াখালী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৭ জুলাই রাতে সেলিম জাকাতের কাপড় বিতরণ শেষে তিতারকান্দি গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে নোয়াখালীর মাইজদীর বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের মহতাপুর এলাকায় এলে দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তার গোঙানির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সেলিমের স্ত্রী কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে ২৭ জনকে আসামি করে সুধারাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ৪৩ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে বাবুলের নামও রয়েছে।
বাবুল ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
এসআই