ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বোয়ালমারী-মধুখালীতে বিএনপির নেতাদের নামে জমি দখলের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
বোয়ালমারী-মধুখালীতে বিএনপির নেতাদের নামে জমি দখলের অভিযোগ

ফরিদপুর: গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর পরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় থানা, বাড়িঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ও জমি দখলের ঘটনার অভিযোগ উঠছে। এ সব ঘটনায় আদালতে একাধিক মামলাও হয়েছে।

 

এরই অংশ হিসেবে ফরিদপুরে দুইটি উপজেলা বোয়ালমারী ও মধুখালীতে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও জমি দখলের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার বোয়ালমারীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুলের মালিকানাধীন জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পৌর বিএনপির সদস্য ও কাউন্সিলর আজিজুল হকের বিরুদ্ধে।  

শাহজাহান মীরদাহ পিকুল অভিযোগ করে বলেন, আমার নিজ নামে ক্রয়কৃত কামারগ্রাম মৌজার ৭৫৬ নম্বর খতিয়ানের ৪২০৬ নম্বর দাগের (ওবদার মোড় সংশ্লিষ্ট) সড়কের পাশে ২ শতাংশ জায়গায় একটি টিনের ঘর রয়েছে। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ওই জায়গার ঘরটি অন্যায়ভাবে জোর করে স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সদস্য আজিজুল হক দখল করে তালা দিয়ে মেরে দিয়েছেন।  

এদিকে দখল অভিযোগটি অস্বীকার করে কাউন্সিলর আজিজুল হক বলেন, আমি কারও ঘরে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা মারতে যাইনি।  

অন্যদিকে জেলার মধুখালী উপজেলার পৌরসভার মহিষাপুর গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির চার নেতাকর্মীর বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতা আব্দুল আলী মানিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

ক্ষতিগ্রস্ত মধুখালী পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ওবায়দুর রহমান জানান, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরপর যুবদল নেতা মানিক, কৃষক দল নেতা মুন্নুর নেতৃত্বে আমার ও আমার সমর্থকদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর এবং জমি দখল করা হয়। এছাড়া আমার এক একর কলা বাগান ও দের একর মরিচ ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আদালতের চারটি অভিযোগ দায়ের করলে সোমবার (১২ আগস্ট) আদালত তা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।  

ক্ষতিগ্রস্ত চারটি পরিবারের সদস্যরা জানান, রাজনৈতিক পরিবর্তনের সুযোগে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিরা একই দলভুক্ত হওয়ার সত্ত্বেও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই শতাধিক মানুষ নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটাসহ হামলা চালায়। এ সময় তারা দুই একর জমির ফসল ধ্বংস করে দখলে নেন এবং পাঁচটি ঘর ভাঙচুর করে অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুটপাট করে।  

এ ঘটনার পর এনামুল খন্দকার, আব্দুল মান্নান খন্দকার, মোহাম্মদ ওবায়দুর খন্দকার ও মো. সেলিম শেখ বাদী হয়ে আদালতে পৃথক-চারটি মামলা দায়ের করেন ফরিদপুর আদালতে।  

অভিযোগের ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আব্দুল আলীম মানিক বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে ওবায়দুরদের সঙ্গে জমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা হয়েছিল। ওই ঘটনার দিন আমি এলাকায় ছিলাম না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।