ঢাকা, সোমবার, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৩ মার্চ ২০২৫, ০২ রমজান ১৪৪৬

রাজনীতি

মৃত্যুর আগে আর আ. লীগ করব না: কামাল আহমেদ মজুমদার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৫
মৃত্যুর আগে আর আ. লীগ করব না:  কামাল আহমেদ মজুমদার

ঢাকা: রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। মৃত্যুর আগে আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কামাল আহমেদ মজুমদারসহ ছয়জনকে কারাগারে থেকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এদিন শুনানি শেষে কামাল আহমেদ মজুমদার কিছু বলতে চাইলে আদালত অনুমতি দেন। এরপর কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, আমার ৭৬ বছর বয়স হয়েছে, চোখে সমস্যা। ৭০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত। কারা কর্তৃপক্ষ ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্র দিচ্ছে না। কোরআন বা ডিজিটাল কোরআনও দিচ্ছে না। একের পর এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছি। আপনার কাছে আবেদন, ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্র দেওয়ার যেন অনুমতি দেওয়া হয়। পরিবারের সাথে কথা বলতে পারি না। কি অবস্থায় আছে তাও জানি না।

তিনি আরও বলেন, এখন আমার বয়স ৭৬ বছর, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর রাজনীতি করব না। আপনার আদালতে সুবিচার প্রার্থনা করছি। এখন নাতি-নাতনিদের সাথে খেলার সময়। এই বয়সে আমার ওপরে জুলুম চালানো হচ্ছে। আল্লাহকে ডাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আছি কারাগারে। আপনার কাছে অনুরোধ, কারাগারে ডায়াবেটিস চেক করার জন্য ডিজিটাল কোনে যন্ত্র বা ওষুধ দেওয়া হোক। পবিত্র কোরআন শরীফও যেন দেওয়া হয়।

এ সময় বিচারক বলেন, আপনার সব দাবি আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করুন।  

শুনানি শেষে আদালত থেকে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, রাজনীতি থেকে একদম অব্যাহতি নিয়েছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি নিয়েছি। আর কোনো দলীয় পদে নাই। অব্যাহতি নিয়েছি বলতে পারেন। আজকে থেকে অব্যাহতি। আর রাজনীতি করব না। কারাগার থেকে আর রাজনীতি করব না।

তিনি বলেন, এদেশে রাজনীতি করার কোনো পরিবেশ নেই। এই বয়সে রাজনীতি করা সম্ভব না। যার কারণে রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। আমরা চাই, নতুন যুব নেতৃত্ব আসুক।  

পরে তাকে কারাগারে হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে গত ১৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিএ অফিসের পেছনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন আতিকুল ইসলাম। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

এ ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের স্বজন ব্যবসায়ী আহসান হাবীব। এ মামলায় আনিসুল হক ৪ নম্বর, সালমান এফ রহমান ৬, কামরুল ইসলাম ৮, কামাল আহমেদ মজুমদার ১০, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ১১ ও শহীদুল হক ২৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৫
কেআই/এমএম/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।