ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বায়তুল মোকাররমে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইসলামী দলগুলোর বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
বায়তুল মোকাররমে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইসলামী দলগুলোর বিক্ষোভ বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো ‘বর্বর গণহত্যা’ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী দলগুলো বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।  

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে।

জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ‘ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ’ কর্তৃক আয়োজিত বর্বর ইসরায়েলের গণহত্যা ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিলে অনুষ্ঠিত হয়।  

একই সময় গাজায় ইসরায়েলের 'নৃশংস ও বর্বরোচিত' হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ তিসরি ইনসাফ দলও পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ ছাড়া জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসব কর্মসূচি থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং দেশটির সব পণ্য বয়কটের জোরালো আহ্বান জানানো হয়।

এ সময় ‘ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ’ কর্তৃক আয়োজিত মিছিল থেকে বলা হয়, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ওপর যে গণহত্যা চালাচ্ছে এটা মানবতার চরম লঙ্ঘন। ইসরায়েলের বিপক্ষে যদি আমাদের অবস্থান নিতে হয় তাহলে তাদের সব পণ্য বয়কট করতে হবে।  

সমাবেশে দলের নেতারা বলেন, ইসরায়েল কর্তৃক গাজায় সে গণহত্যা চলছে, তা আন্তর্জাতিক যুদ্ধের নিয়মবিরোধী। হামাসের সঙ্গে না পেরে অসহায় মানুষদের মারা হচ্ছে।

তা ছাড়া আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর একপেশী সিদ্ধান্ত আমাদের হতাশ করেছে। ইতোমধ্যে ৬০ হাজার মানুষ মেরে ফেলা হয়েছে, অথচ যুদ্ধ বন্ধে কোনো কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা হচ্ছে না। তাই ওআইসিসহ সব সংস্থাকে আহ্বান জানাবো, যুদ্ধ বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করুন। আর ফিলিস্তিন স্বাধীনের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, আমরা চাই দেশের প্রতিটি মানুষ তাতে অংশগ্রহণ করুক এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা বাস্তবায়িত হোক।

একই সময় ইসলামী আন্দোলনের পাশে বাংলাদেশ তিসরি ইনসাফ দল কর্তৃক ‘গাজায় ইসরায়েলের নৃশংসভাবে বর্বরোচিত গণহত্যা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দেন। ইসরায়েলের বিপক্ষে ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে রওনা হন।  

অন্যদিকে ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলমানদের ওপর চির অভিশপ্ত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলা প্রমাণ করে দেয় দাজ্জালের আবির্ভাব হয়ে গেছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব হচ্ছে। তাই এখন মুসলমান হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আমাদের জন্য ফরজ হয়ে গেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামসহ যতগুলো ইসলামিক দল ইসরায়েলের বিপক্ষে আন্দোলন করছে আমরা তাদের সমর্থন জানাই। বাংলাদেশ ইসরায়েলের বিপক্ষে যে অবস্থান নিয়েছে বিশ্বের অন্য ইসলামী রাষ্ট্রগুলো মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। আমাদের উচিত ইসরায়েলি সব পণ্য তালিকা করে বয়কট করা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
ইএসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।