ঢাকা: রমজান মাসে বিভিন্ন সিএনজি স্টেশন, শিল্পকারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, ‘বন্ধ নয়, সব কিছু খোলা রেখেই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে।
জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যা পরবর্তী রাজনৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়: সমকালীন প্রেক্ষাপট শীর্ষক এ গোলটেবিল আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিস (বিইডিএসএস)।
সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে বৈঠকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, এই সিন্ডিকেট সরকারের মধ্যে ঢুকে গেছে। সিন্ডিকেটকে সরকারের মধ্যে ঢোকানোর জন্য জনগণ ভোট দিয়ে সরকারকে মতায় বসায়নি। সর্ষের মধ্যেই ভূত ঢুকে গেলে সেটা আমাদের আতঙ্কিত ও আশঙ্কিত করে। এই সিন্ডিকেটকে পরাজিত করেই এগিয়ে যেতে হবে। ’
সুরঞ্জিত বলেন, ‘সিভিল সার্ভেন্ট ও ব্যুরোক্রেট দিয়ে দেশ পরিচালনা করা গেলেও সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। ’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পলাতক আসামীদের ফাঁসি, জেল হত্যাকাণ্ড, যুদ্ধাপরাধী, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও দশ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলার বিচার এক সঙ্গে করতে হলে জনগণকে সঙ্গে নিতে হবে। সুশাসন বন্ধ করে কেবল বিচার করলেই হবে না, দেশ ও জনগণের স্বার্থকেও এগিয়ে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমানের ইন্ধন ছিল। এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হওয়ার উচিত।
’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ না করতে পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়ভার আমারও নেওয়া উচিৎ। কেননা ওই সময় সেনাবাহিনীতে থেকেও এই হত্যার প্রতিবাদ জানাতে পারিনি। ’
জাতীয় প্রেসকাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ আখতার ইউসুফ ১৫ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার এতোদিন পরও এটা করা যায়নি- যা খুবই দুঃখজনক। ’
তিনি বলেন, তালিকা করে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে রাজাকার সদস্যদের বিতাড়িত করা হবে। প্রেসকাবের ম্যানেজিং কমিটি এটা না করলে আমরা জনগণের আদালতে যাবো। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মাত্র ৫ জন সদস্য মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির। এই অবস্থায় আন্দোলনের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সভাপতি একেএম আজম খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, অপু উকিল এমপি, শাহীন মনোয়ারা হক এমপি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ১৩ আগস্ট, ২০১০