ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমার জানা মতে, এনসিপি এবং চারটি বাম রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যেতে পারেনি। বলবো না, স্বাক্ষর করেনি।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য এটা বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা মনে করি, সহনশীলতা সবার মধ্যে আসবে। হয়তো তাদের কিছু দাবি দাওয়া আছে। সেটা সরকারের সঙ্গে আলাপ করবে। একপর্যায়ে তারাও জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর গণতন্ত্রের মধ্যে তো সবাই একমত হবে এমন তো নয়। সেটা উন্মুক্ত আছে। ভিন্ন মত থাকতেই পারে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ( জেডআরএফ) এর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা ধৈর্য, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়ে যেন এগিয়ে যাই। তাহলে সত্যিকার অর্থে একটি কার্যকর শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে পারবো। আমাদের শহীদের আত্মত্যাগ এবং রক্তদান সফল হবে।
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের ঐতিহাসিক দিন পুলিশের সঙ্গে ‘জুলাইযোদ্ধাদের’ সংঘর্ষ হয়েছে। যোদ্ধারা বলেছেন, ‘জুলাই সনদ’ এর মধ্যে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জুলাইযোদ্ধা’ নামে একটি সংগঠন আমাদের সঙ্গেও কথা বলেছিল। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একটা যৌক্তিক দাবি ছিল। সেই যৌক্তিক দাবিটা পূরণের জন্য আমি নিজেও স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, কথা বলেছিলাম। এবং সেটা ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ সঠিকভাবে এড্রেস করেছেন, সেটা প্রেসে বলেছেন এবং সংশোধন করেছেন। এরপরেও তাদের অসন্তোষ থাকার কথা নয়। যে সমস্ত বিশৃঙ্খলা হয়েছে আমরা খোঁজ নিয়েছি। এটা তদন্তনাধীন আছে। দেখা গেছে, এখানে ‘জুলাইযোদ্ধাদের’ নামে কিছু সংখ্যক ছাত্র নামধারী, কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল লোক ঢুকেছে। সেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী, যে এখনো সমস্ত জায়গায় এ বিভিন্ন ফাঁক-ফোকরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে , সেটা গতকালকেও দৃশ্যমান হয়েছে। আমার মনে হয়, এখানে এটির সঙ্গে কোনো সঠিক কোনো ‘জুলাইযোদ্ধা’ বা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কোনো সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে না।
ইএসএস/জেএইচ