ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ওয়াক্কাসের মুক্তি চান খালেদা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৩
ওয়াক্কাসের মুক্তি চান খালেদা

ঢাকা: ১৮ দলীয় জোট নেতা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ- এর মহাসচিব মুফতি মো. ওয়াক্কাসকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
 
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, নিজেদের সংযত করুন, জনগণের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিন।

অন্যথায় জনগণের ক্রোধ থেকে রেহাই পাবেন না।
মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতার ‘সরকারের নোংরা খেলার অংশ’ মন্তব্য করে খালেদা বলেন, সরকার ইচ্ছা করেই অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে।
কারণ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে তারা দেশময় যে বিভীষিকা ও ভয়াবহ দুঃশাসন চালিয়েছে সেটিকে ঢাকবার জন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে নানা ধরনের নোংরা কৌশল অবলম্বন করছে।
মো. ওয়াক্কাসকে গ্রেপ্তারও সরকারের এমন নোংরা খেলারই অংশ।
 
এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খালেদা বলেন, প্রতিহিংসা এবং বন্য বিচারই হচ্ছে বর্তমান আওয়ামী সরকারের শাসনের মূল বৈশিষ্ট্য। বিরোধী মত এবং চিন্তাকে অত্যন্ত নৃশংস কায়দায় এই সরকার গত পাঁচ বছর ধরে দমন করে এসেছে।
 
বিএনপি’র দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে খালেদা বলেন, আওয়ামী সরকার এবং তাদের পোষ্যরা শুধু বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা করছে না, বরং সম্পদের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে নিজেরাও মারামারি করে প্রাণনাশের মত ঘটনা ঘটাচ্ছে।
 
খালেদা জিয়া বলেন, সারাদেশ এখন যেন সরকারি মদদপুষ্ট। প্রকাশ্য ঘাতক ও গুপ্ত ঘাতকদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। মুফতি ওয়াক্কাসের ন্যায় জাতীয় নেতাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকার দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উপসংহারহীন অবস্থার দিকে নিয়ে গেল।
 
তিনি বলেন, তারা শুধু বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীই নয়, বরং নিরপরাধ লোকদের হত্যা করতে নিজেদের লালিত দুর্বৃত্তদের সহিংস হত্যাকাণ্ডে উৎসাহিত করছে। দুর্নীতি ও হানাহানিতে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি করছে ক্লেদাক্ত।
 
খালেদা জিয়া বলেন, শেয়ার মার্কেট হরিলুট, বিনা টেন্ডারে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হওয়া, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল দুর্নীতি, ডেসটিনি ও হলমার্ককে দিয়ে রাষ্ট্রের সম্পদের লুন্ঠনের পথ তারা খুলে দিয়েছে। উদ্দেশ্য হলো দেশের সব সম্পদ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পকেটে নিয়ে জমা করা।
 
তিনি বলেন, বিরোধী সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার জন্য নানামুখী দুর্বিনীত কর্মকাণ্ড- যেমন হত্যা, শারীরিক ক্ষতি, বিনা কারণে আটক, রিমান্ডের নামে পাশবিক নির্যাতন চালাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিষ্ঠুরভাবে ব্যবহারসহ বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত রুচিহীন ও আপত্তিকর মন্তব্য ইত্যাদির মাধ্যমে একটি অবৈধ কর্তৃপক্ষে পরিণত হয়েছে এই সরকার।
 
খালেদা বলেন, নিজেদের অপ-শাসন টিকিয়ে রাখতে এরা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা দায়ের এবং গুম ও অপহরণের মত নৃশংস পথ বেছে নিয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৩
এসকেএস/এমআইপি/এমজেডআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।