ঢাকা: আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা লতিফ সিদ্দিকীর করা আবেদনে নো অর্ডার দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এতে তার সংসদ সদস্যপদ নিয়ে শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের যাওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকলো।
রোববার (২৩ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে কামরুল হক সিদ্দিকী শুনানি করেন।
লতিফ সিদ্দিকীর অপর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া পরে সাংবাদিকদের কাছে আপিল বিভাগের নির্দেশের কথা জানান। এছাড়াও তারা নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশ নিতে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। রোববারই ওই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে পবিত্র হজ নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় দলীয় পদ হারানো লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ থাকা না থাকার বিতর্কের শুনানি নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সভাকক্ষে। সকাল ১১টায় এ শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসালমেরও শুনানিতে উপস্থিত থাকার কথা।
গত ১৩ জুলাই (সোমবার) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। এতে লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়। সে মোতাবেক বিরোধটি নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া হাতে নেয় ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে দু’পক্ষকেই শুনানির সুযোগ দেওয়া উচিত। তাই তাদের শুনানি হবে।
আইন অনুযায়ী, বিরোধ উত্থাপনকারী ও যার বিরুদ্ধে বিরোধ উত্থাপন হয়েছে, উভয়পক্ষই শুনানিতে সাক্ষ্য উপস্থাপন ও জেরা করার সুযোগ পাবেন। এছাড়া তারা ব্যক্তিগতভাবে অথবা অ্যাডভোকেট প্রতিনিধির মাধ্যমে ইসির সামনে উপস্থিত থাকার অধিকার পাবেন।
অন্যদিকে লতিফ সিদ্দিকী তার সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকা না থাকা নিয়ে শুনানি করতে ইসির এখতিয়ার নেই এমন দাবি করে প্রথমে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিট আদালত খারিজ করে দিলে তিনি চেম্বার জজ আদালতের শরণাপন্ন হন। চেম্বার জজ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে পাঠান ও রোববার শুনানির তারিখ ধার্য্য করেন।
রোববার সকালেই আপিল বিভাগ শুনানির শুরুতেই নো অর্ডার দিয়ে দেন। এতে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থেকে যায় । আর তাতে লতিফ সিদ্দিকীর ভাগ্য নির্ধারণে নির্বাচন কমিশনকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার পর প্রথমেই মন্ত্রিসভা থেকে তাকে বহিষ্কার করে সরকার। এরপর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরও পরে তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর সবশেষ তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময় ০৯৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৫
এমএমকে