বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তাঁতী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙিয়ে, তার নাম ভাঙিয়ে রাজনীতির দোকান খুলে বসেছে।
ইতিহাসের বিভিন্ন বিশ্বাসঘাতকতা ও হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, যারা বেইমানি করে, যারা ঘাতক, তাদের কখনোই স্বাভাবিক মৃত্যু হয় না। সবসময় অপমৃত্যু ঘটে।
তিনি বলেন, ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যারা রাজনীতি করে, এরা কারা? পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিয়ে রাজনীতি করে, এরা কারা। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি ও পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে, তারা কারা? এরা ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এরাই ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমানের ছেলে পলাতক তারেক জিয়া। এদের হাত মানুষের রক্তে রঞ্জিত। প্রচলিত আদালতে এদের বিচার হয়েছে। ইতিহাসের আদালতে বিচার হয়েছে। জনতার আদালতে তাদের বিচার হয়েছে। আগস্ট মাস আসলেই এদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। বিএনপি এখন রাজনীতিতে খেই হারিয়ে আবোল-তাবোল বলছে। তারা একজনকে জাতীয়তাবাদী জাতির পিতা বানানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু পরিবার সততার উৎকৃষ্ট উদাহরণ উল্লেখ করে কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে সৎ পরিবার হচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিবার। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তারা কাজ করে জীবনধারণ করেন। রাজনীতিতে এসে টাকা-পয়সা অবৈধভাবে আয় করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান। সভাপতিত্ব করেন তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
আরকেআর/একে