ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কাদের সাহেব উল্টো কথা বলেছেন: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২০
কাদের সাহেব উল্টো কথা বলেছেন: রিজভী রুহুল কবির রিজভী

ঢাকা: ‘বিএনপি মানসিকভাবে বিপন্ন, তারা জনরোষের ভয়ে আতঙ্কে আছে। ’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কাদের সাহেবের কথাটা হবে—আওয়ামী লীগ জনরোষের আতঙ্কে আছে।

কিন্তু তিনি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে ফেলেছেন। নিজেদের অবস্থাটা এখন অন্যের ভেতরে দেখতে চাচ্ছেন। অনুভব করছেন যে, তাদের কী ভয়াবহ অবস্থা।

শুক্রবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, বিএনপি আতঙ্কিত হবে কেন? বিএনপি কি চাল চুরি, তেল চুরি, ত্রাণ চুরি, করোনার টেস্ট কিট দুর্নীতি, ব্যাংক লোপাট, রাজকোষ চুরি, শেয়ার বাজার লুণ্ঠন, রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট ডাকাতির কাজে লিপ্ত ছিল? দেশব্যাপী উল্লেখিত চুরি-ডাকাতি ও লুটের সাথে আপনাদের জড়িত থাকাটা শুধু দেশীয় গণমাধ্যম না আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রচার হচ্ছে। সুতরাং জনরোষের ভয়ঙ্কর আতঙ্কের মধ্যে আপনারা এখন প্রলাপ বকছেন।

রিজভী বলেন, চারদিকে আপনাদের অপকর্মের স্তূপ এত বিকট আকার ধারণ করেছে যে, বিএনপিকে গালমন্দ করা ছাড়া এই মুহূর্তে আপনাদের স্টকে আর কিছু নেই। তাই প্রলাপ বকেন আর বিএনপিকে নিয়ে সমালোচনা করেন। সারা বিশ্বে এখন আলোচিত দুর্নীতিবাজ সরকার হলো—ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী লীগ। যত অপকর্ম করছে আওয়ামী লীগ আর জনরোষের ভয় দেখাচ্ছেন বিএনপিকে। কী হাস্যকর কথা। যদি সৎ সাহস থাকে তবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তখন দেখা যাবে কারা জনরোষে পড়ে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গত এপ্রিল মাসে ওবায়দুল কাদের সাহেব করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি মনিটর করছেন। নির্দেশনা দিচ্ছেন, তদারকি করছেন। জনগণ জানতে চায়, প্রধানমন্ত্রী যদি করোনা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করেন তাহলে ভুয়া প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার এবং রিজেন্ট হাসপাতাল করোনা টেস্ট ও ট্রিটমেন্টের অনুমতি পেলো কেমন করে? স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে জেকেজি এবং রিজেন্ট কাজ পেয়েছে। অপরদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তারা কিছুই জানে না। মরণঘাতী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যখন সারাবিশ্ব এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে কাজ করছে, তখন এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে নেয়া সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী জানেন না, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানেন না; তাহলে জানবেটা কে? কার জানা উচিত? জনমনে এখন এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।