ঢাকা: বাণিজ্য বন্ধের পাশাপাশি দেশের সকল নাগরিককে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।
বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, করোনা মহামারির সংক্রমণে সারা বিশ্বের মানুষ আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ইতোমধ্যে যে কয়টি ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে তা নিয়েও চলছে আন্তর্জাতিকভাবে রাজনীতি ও বাণিজ্য। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণায় ৭০০ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষমতা অর্জিত হলেও টাকা ছাড়া তা পাওয়া হবে কিনা সেটা অনিশ্চিতই রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কারোনাকালে সরকারের ব্যর্থতা ও মাস্ক, পিপিই নিয়ে দুর্নীতির চিত্র মানুষ দেখেছে। এখনও অক্সফোর্ডের টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে ৩ ডলারে কিনে দেশে ৫ ডলারে বিক্রির কথা বলা হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরাসরি সেরামের কাছ থেকে টিকা না কিনে বেক্সিমকো নামক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কেনার চুক্তি করেছে। যখন এ ধরনের চুক্তি করা হয় তখনই দেশবাসী আশঙ্কা করেছিল টিকা নিয়েও বাণিজ্য ও দুর্নীতির দ্বার খুলে দেওয়া হলো। জনগণের আশংকাই আজ সত্যে রূপ নিতে দেখা যাচ্ছে। বেক্সিমকো ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে তারা জানুয়ারি থেকেই বেসরকারিভাবে করোনা ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক বিক্রি শুরু করবে। সরকারিভাবে করোনা ভ্যাকসিন আসার আগেই বেক্সিমকোর এই ঘোষণা সাধারণ মানুষকে যারপরনাই আতঙ্কিত করেছে। ভ্যাকসিন নিয়েও সেই একই নীতি ‘ফেল কড়ি মাখো তেল’, ‘টাকা আছে যার, ভ্যাকসিন পাবে সে’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুর্নীতি আজ রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ছে। সংবাদে প্রকাশ পেয়েছে করোনা টিকার ‘অ্যাপ’ তৈরি করতেই নাকি ৯০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই সংবাদের প্রতিবাদ করে যে ব্যাাখ্যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হয়েছে তাতেও দুর্নীতির ছাপ স্পষ্ট। সেখানে বলা হয়েছে ‘অ্যাপ’ নয় অ্যাপ পরিচালনা ব্যয় হবে ৯০ কোটি টাকা। বোঝাই যাচ্ছে এটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা।
খালেকুজ্জামান করোনা টিকা নিয়ে সকল প্রকার বাণিজ্য ও দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি বন্ধ এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সকল নাগরিককে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
আরকেআর/এইচএডি