ঢাকা: ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, এই সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার তুলে দিয়ে জাতিকে চরম সংকটে ফেলে দিয়েছে। ২০১৪ সালে বিরোধী দল বিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালে সরকারদলীয় গুণ্ডা-পাণ্ডা ও প্রশাসনের দুর্বৃত্ত একটি অংশকে ব্যবহার করে তারা দেশে একদলীয় সরকার কায়েম করেছেন।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটির এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে সেমিনার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জন্মের পর থেকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারিনি, এটা আমাদের জন্য চরম ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার দায়ভার সব রাজনৈতিক নেতাকে নিতে হবে। ৭২ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত এক ধরনের শাসন ব্যবস্থা ছিল। ৯০ সালের পর থেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যাত্রায় গণতান্ত্রিক পথচলা শুরু হয়েছে। গণতন্ত্রের রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সুশাসন, ভিন্নমতের মানুষদের প্রতি সম্মান, স্বাধীন বিচার বিভাগ এগুলো আমরা দেখেছি।
নুর বলেন, বিগত দিনগুলোতে যে সরকার ক্ষমতায় ছিল সবাই নিজেদের স্বার্থে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করা, নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা, এই কাজগুলো মোটামুটি সব রাজনৈতিক দল কমবেশি করেছে। কিন্তু বর্তমান সরকারি দল সবাইকে ছাড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে। সরকার যা করছে তাই আইন হচ্ছে, তারা যেভাবে আমাদের গণতন্ত্র শেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষ কথা বলতে গেলেও এখন কথা বলতে পারছে না। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বক্তব্য ফেসবুক লাইভে চলে যায়। এসব কারণে মানুষের গলার কাটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। তথাকথিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা একটা নিপীড়নমূলক ও গণবিরোধী আইন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক এসএম তাইজুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২১
এমএমআই/জেএইচটি