ঢাকা: ভারতে অনুপ্রবেশের মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ—এমন একটি খবর গত দু’দিন যাবত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, এ খবর সঠিক নয়।
রাজধানীর উত্তরা থেকে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। ২০১৬ সালে দলের কাউন্সিলে তাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর পরের দিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ।
এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলংয়ের নেগ্রিমস হাসপাতালে নেওয়া হয়। সে বছরে ২৭ মে সালাহউদ্দিনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান। পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৯ মে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হলেও ইন্টারপোলের ঢাকা অফিসের রেড নোটিশ থাকায় তাকে জামিন দেননি ভারতের শিলংয়ের একটি আদালত।
এর আগে ভারতের শিলং সিভিল হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন সালাহউদ্দিন আহমেদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ‘তৃতীয় কোনো দেশে’ নিয়ে যেতে চান তার স্ত্রী। কিন্তু অবৈধ অনুপ্রবেশ মামলার আসামি হওয়ায় ভারতীয় পুলিশ তখন সে সুযোগ দেয়নি।
২০১৫ সালের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ পত্রে বলা হয়, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের শিলংয়ে আকস্মিক উপস্থিতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিচার এড়াতে তিনি ভারতে এসেছেন।
এই মামলায় আদালত সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য রেকর্ড করেন এবং তাকে শিলংয়ে পাওয়ার পর যে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেই হাসপাতালের দুই চিকিৎসকসহ ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের ২৫ জুন উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ১৩ আগস্ট রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন। এরপর তিন দফা রায়ের তারিখ পেছানো হয়েছিল। সর্বশেষ ২৬ অক্টোবর শিলংয়ের আদালত তাকে বেকসুর খালাস দিলেও কেন্দ্রীয় সরকারের আপিলের কারণে তিনি এখনও শিলংয়ে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ