ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

রিজার্ভের অর্থে পদ্মা সেতু পায়রা বন্দর ও মেট্রোরেল: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
রিজার্ভের অর্থে পদ্মা সেতু পায়রা বন্দর ও মেট্রোরেল: তাপস

ঢাকা: রিজার্ভের টাকা কোথায় যায়- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন প্রশ্নের কড়া জবাব দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।  

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শাহবাগ ও রমনা থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জবাব দেন তিনি।

 

মেয়র তাপস বলেন, রিজার্ভের টাকা কোথায় যায় জানতে চায় মির্জা ফখরুল। উন্নয়ন চোখে পড়ে না, নাকি গাত্রদাহ হয় আপনার? পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করেছি। পায়রা বন্দর, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি ট্যানেল করেছি।  

বিনামূল্যে করোনার টিকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে করোনা নির্মূল করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল, খালেদা জিয়া আপনারা তো তখন বলেননি টিকা নেবেন না। অথচ বিএনপি এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি, জাতিকে শুধু খাম্বা দিয়েছেন। হাওয়া ভবনের মাধ্যমে লুটপাট করেছেন।  

মেয়র তাপস বলেন, টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে নায্যমূল্যে খাদ্য পণ্য দেওয়া হবে। শেখ হাসিনা ২৫ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে গেছেন বিদ্যুৎ উৎপাদন।  

২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৬.১ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে এখনকার সময়ে একমাসেরও আমদানি ব্যয় সম্ভব নয়। আর শেখ হাসিনা সঞ্চয় করে ২০২১ সালে ৪৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত নিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।  

২-৩ টা জনসভা করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, বাসের মালিকেরা বাস বন্ধ করে দিয়েছে। আন্দোলনের নামে বাস পুড়িয়েছে, বাসের মালিকেরা প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ আপনারা তাদের পুঁজি ধ্বংস করেছেন, মানুষ মেরেছেন। আমরা যদি জনসভা বন্ধ করতে চাই, তাহলে আমার মামাতো ভাইদের বললেই আর একটা মানুষও বরিশালে যেতে পারবে না। আর কাউকে লাগে না।

বিএনপির ২০০১-০৬ সালের ক্ষমতাকালীন সময় হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীদের ঘরে ঘুমাতে দেননি। সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া ছোট করে জনসভা করছিলেন, গ্রেনেড মেরেছিলেন। আমরা বলেছিলাম হেলিকপ্টার পাঠিয়ে নিয়ে আসতে, কিন্তু আনেন নি। তিনি রক্তে রঞ্জিত হয়ে মারা গিয়েছেন। গাজীপুরে জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাষ্টারকে বিএনপির দূর্বৃত্তরা হত্যা করেছিল। নাটোর আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে হত্যা করেছিলো। খুলনার জনপ্রিয় নেতা, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল ইমামকে হত্যা করেছে।

বিএনপি জঙ্গিবাদী রাজনীতি করে জানিয়ে মেয়র বলেন, হত্যা করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল বিএনপি। স্লোগান দিয়েছিলেন ‘বাংলা হবে আফগান, আমরা হবো তালেবান’।  

বিশ্ব সংকটের দিকে তাকিয়ে মেয়র বলেন, সারা ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দা, যুক্তরাজ্যে কোনো এমপি টিকতে পারছে না। আর শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। করোনা যদি না হতো, ইউক্রেন যুদ্ধ - বিশ্বমন্দা যদি না হতো বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের শিখরে থাকতো।  

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, বিএনপি বোকার স্বর্গে বাস করে, কত বড় আহাম্মক। ডিসেম্বরে তারা হুমকি দেয়, অথচ ডিসেম্বরে যত অর্জন সবই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ১৬ ডিসেম্বর জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে, ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩০ আসন পেয়েছিল, আর বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০ আসন।

শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল এমপি।  

 বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯, অক্টোবর ২৮, ২০২২
এনবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।