এথেন্স, গ্রিস থেকেঃ গ্রিসের রাজধানী এথেন্সেও নির্মিত হচ্ছে বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতীক শহীদ মিনার। সেন্ট্রাল এথেন্সের মনাস্তিরাকি কুমুদ্র স্কোয়ারে শহীদ মিনারের জন্য স্থানীয় প্রশাসন এরইমধ্যে জায়গা বরাদ্ধ দিয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সেখানকার বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা।
শহীদ মিনারের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া স্থান প্রতিবেদককে ঘুরিয়ে দেখান তারা। শহীদ মিনারের কাজ কখন শুরু হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
স্থানীয় কমিউনিটি নেতা আলিম খালাসি ও জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন ‘২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় গ্রিস সরকারের কাছেও দিনটির গুরুত্ব রয়েছে। আর একারনেই স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরির এই সিদ্ধান্ত’। তারা জানান, স্থানীয় কমিউনিটি দীর্ঘদিন যাবত কুমুদ্র স্কোয়ারে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে ৫২ এর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আসছে। একই স্থানে প্রতি বছর বৈশাখী মেলাও উদযাপন করে বাংলাদেশি কমিউনিটি। স্থানীয় কমিউনিটির ভাইস প্রেসিডন্ট ফারুক মিয়া এ কথা জানান।
প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে অস্থায়ী শহীদ মিনারে তারা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন এথেন্স প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আলিম খালাসি জানান, ২১ ফেব্রয়ারির প্রথম প্রহরে প্রথম স্থানীয় বাংলাদেশ হাইকমিশন, বাংলাদেশি কমিউনিটি (সংগঠন), গ্রিস আওয়ামীলীগ ও গ্রিস বিএনপি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। গ্রিস বিএনপির সাবেক নেতা ও জিয়া পরিষদের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন 'আসলে বাংলাদেশে যে দল ক্ষমতায় থাকে হাইকমিশন ও বাংলাদেশী কমিউনিটির পর সে দলই শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে'।
কুমুদ্র স্কয়ারের অস্থায়ী শহীদ মিনারে দীর্ঘদিন ধরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছেন গ্রিস যুবলীগের নেতা আব্দুল হালিম হাওলাদার। স্থায়ী শহীদ মিনার হচ্ছে এজন্য তিনিও উৎফুল্ল। বাংলানিউজজকে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের। একটি স্থায়ী শহীদ মিনার পাওয়া আমাদের অধিকার, স্থায়ী শহীদ মিনারের জন্য জায়গা বরাদ্ধ দিয়ে এই অধিকারের প্রতিই সম্মান দেখালো গ্রিস কর্তৃপক্ষ।
তবে স্থায়ী শহীদ মিনারের জন্য স্থান বরাদ্দের বিষয়টি গ্রিসে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে নিশ্চিত করার যায় নি।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৫