পার্থ (অস্ট্রেলিয়া): ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সঙ্গে একদল প্রবাসী বাঙালি এগিয়ে চলেছেন শহীদ মিনারের দিকে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে। গত শনিবার একুশের প্রথম প্রহরে এমনই দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার পার্থের একটি বাড়ির সামনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে।
শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত থেকেই সমবেত হন প্রবাসী বাঙালিরা। রাত বারটা এক মিনিট বাজতেই একে একে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন তারা।
প্রবাসী এসব বাঙালিরা একদিকে যেমন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছিলেন একুশের শহীদদের মহান আত্মত্যাগ, অন্যদিকে তেমনি ফিরে ফিরে যাচ্ছিলেন ফেলে আসা বাংলাদেশের একুশ উদযাপনের স্মৃতিতে। এ যেন বিদেশের মাটিতে ছোট্ট একটুকরো বাংলাদেশ। যারা গভীর রাতে আসতে পারেননি তারা অনেকেই একুশে ফেব্রুয়ারি দিনের বেলায় এসেছেন ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে।
পার্থ প্রবাসী বাঙালিদের জন্য একটি শহীদ মিনারের অভাব লক্ষ্য করেই ২০১০ সালে প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বজিৎ বসু নিজ হাতে একটি শহীদ মিনার তৈরি করেন। তিনি এটি নিজের বাড়ির সামনে স্থাপন করেন। সে বছরই প্রথম পার্থের প্রবাসী বাঙালিরা শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে একুশ উদযাপনের সুযোগ পান। এরপর থেকে প্রতি বছরই এ আয়োজন চলে আসছে।
সকলের অংশগ্রহণে এ আয়োজনটি সার্থকতা লাভ করেছে। যে শিশু জন্ম নিয়েছে বিদেশের মাটিতে সেও জানতে পারছে শহীদ মিনারে কেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হয়। জানতে পারছে বাঙালির গর্বের ইতিহাস। প্রবাসীদের জন্য এটা অনেক বড় পাওয়া।
একুশের প্রথম প্রহরে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জহর চৌধুরী, নাজমুস সাদাত, প্রবীর সরকার, বাপি মাজহার, কামরুল আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫