ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

আগামী বিশ্বকাপ টাইগারদের, প্রত্যাশা জেনেভা প্রবাসীদের

মোজাম্মেল হক মামুন, জেনেভা থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৫
আগামী বিশ্বকাপ টাইগারদের, প্রত্যাশা জেনেভা প্রবাসীদের ছবি: সংগৃহীত

জেনেভা:  বর্তমান ক্রীড়া নৈপূণ্য অব্যাহত থাকলে ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা টাইগার বাহিনীই জিতবে বলে মনে করেন জেনেভা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সদ্যসমাপ্ত এগারতম বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে ভারত ন্যাক্কারজনকভাবে আম্পায়ারের সহযোগিতায় না হারালে টাইগারবাহিনীর সাফল্যগাঁথা সেমিফাইনালেও অক্ষুন্ণ থাকতো বলে মনে করেন তারা।



গত ২৮ মার্চ পড়ন্ত সন্ধ্যায় জেনেভার একটি বাঙালি সুপার মলে আয়োজিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎসবে এ প্রত্যাশা ও মতামত ব্যক্ত করা হয়। তিন প্রবাসী বন্ধুর উদ্যোগে কয়েকজন ক্রিকেটপ্রেমী আড্ডায় মিলিত হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি উৎসবে রূপ নেয়।

এ উৎসব আড্ডায় ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ দলের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার অনন্য কীর্তি, রুবেল হোসেনের বোলিং তাণ্ডব, মাশরাফি বিন মর্তুজার অসাধারণ ক্যাপ্টেন্সি এবং মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের টানা দু’টি সেঞ্চুরিসহ পুরো টুর্নামেন্টে ‍টাইগার বাহিনীর সাফল্যগাঁথা উঠে আসে।

এতোসব ছাপিয়ে আড্ডার মূল বিষয় হয়ে যায়- বাংলাদেশ ভারতের কোয়ার্টার ফাইনালে বিতর্কিত ও প্রভাবিত আম্পায়ারিংয়ে কথা।

উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা কামাল হোসেন বলেন, ভারত তার প্রতিবেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবহেলা আর অসম্মান দেখিয়ে আসছে।

সুপার মলের মালিক শামীম সিকদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারতীয়দের অর্থের কাছে আইসিসি বিক্রি হয়ে গেছে। তাই বাজে আম্পায়ারিং করে বাংলাদেশ দলকে সেমিফাইনালে উঠতে দেওয়া হয়নি। অস্ট্রেলিয়া ভারতকে তার সমুচিত জবাব দিয়েছে।

অপর উদ্যোক্তা মোশারফ দেওয়ান বলেন, টাইগারদের ক্রিকেট নৈপূণ্য এখন আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচিত ও প্রসংশিত। আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য ভারত বাংলাদেশ দলকে ভীষণ ভয় পায়। আমরা আশাবাদী, বর্তমান ক্রীড়া নৈপূণ্য অব্যাহত থাকলে ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা হবে বাংলাদেশের।

দিবাকর পাল কল্যাণ বলেন, কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারানোর জন্য বাজে ‍আম্পায়ারিং পুরোপুরি দায়ী। এটা অন্ত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুখঃজনক।

পরে উৎসবে আগত শতাধিক অতিথিকে কাচ্চি বিরিয়ানি, চিংড়ি কারী ও বোরহানি দিয়ে আপ্যায়ন করান উদ্যোক্তারা।

উৎসবে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেনেভা বাংলাদেশ ক্লাবের সাবেক সভাপতি নজরুল জমাদার ও আশরাফুল ইসলাম আজাদ, মাইনরিটি কাউন্সিলের নেতা অরুন বড়ুয়া, পলাশ বড়ুয়া, সসীম বড়ুয়া, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সুইজারল্যান্ড শাখার সহ-সভাপতি মশিউর রহমান সুমন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মহসিন, স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী রহমান খলিলুর প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।