ঢাকা: বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৪৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১২ এপ্রিল) বিকেলে ফ্লরিসড্রফের ভিএইচএস হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অস্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বায়েজিদ মীর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামছুদ্দিন, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল জলিল, আকতার হোসেন, রুহী দাস সাহা, মিজানুর রহমান শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব খান শামীম প্রমুখ।
স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে ঘুরে ফিরে উঠে আসে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের একাত্তরের অপকর্মের রায় বাস্তবায়নের বিষয়টি।
প্রধান অতিথি এম. নজরুল ইসলাম বলেন, অপরাধযজ্ঞের দীর্ঘ ৪৪ বছর পর দ্বিতীয় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর করায় সবার সঙ্গে আমরা প্রবাসীরাও ভীষণভাবে উল্লসিত।
তিনি বলেন, প্রথানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্পাত-দৃঢ় নেতৃত্বের পিছনে জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও সমর্থনে দেশি-বিদেশি সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়ে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার ও রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে।
এই বিচার প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে দীর্ঘদিনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে মুক্তিযুদ্ধের গান ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন অস্ট্রিয়া প্রবাসী কণ্ঠশিল্পী উজালা রোজারিও, সাইফুল ইসলাম, উৎপল কর্মকার, পূর্ণা, প্রজ্ঞা, প্রবা, ইশিতা সাহা, রামিতা সাহা ও মেঘা কর্মকার। এছাড়া নৃত্য পরিবেশন করে শিশুশিল্পী সুবর্ণ মন্ডল, রামিতা সাহা ও প্রিমা সাহা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ফারা দিবা। তবলায় ছিলেন বিশ্বজিৎ ঘোষ, সঙ্গীতে আনন্দ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সাইফুল ইসলাম। সব শেষে ছিল নৈশভোজ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৫
এসএস/এএ