ঢাকা: অষ্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদ-উল আজহা উদযাপন করেছেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিচালিত পাঁচটি মসজিদ রয়েছে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়।
ভিয়েনার প্রাণকেন্দ্রে বাংলাদেশিদের অর্থে কেনা জমিতে নির্মিত বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বায়তুল মোকাররমে স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ইমামতি করেন ড. মো: ফারুক আল মাদানী। এ জামাতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন ভিয়েনার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর, কাউন্সেলর শাবাব বিন আহমেদ, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতা খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, আবিদ হোসেন খান তপন, মুক্তিযোদ্ধা বায়োজিদ মীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
জামাতে অংশগ্রহণকারী বিপুল সংখ্যক মুসল্লিকে মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করেন অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ ও বন্দন মহিলা সমিতির নেতারা।
ঈদের নামাজ শেষে অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর প্রবাসীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী ঈদের জামাতের পর একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। ভিয়েনায় বাংলাদেশিদের মসজিদগুলোতে ঈদ জামাতে বাংলাদেশ, দেশের মানুষ এবং মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভিয়েনায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের অনেকেই কোরবানি দিয়েছেন শহরের বাইরের কসাইখানায়। এসব কসাইখানা ভিয়েনা থেকে বেশ দূরে। অনেকে ১০০ কিলোমিটার, কেউ ১৫০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে কোরবানি দিয়েছেন। কোরবানির ১/২ মাস আগে কসাইখানায় গিয়ে পশু নির্দিষ্ট করে বুকিং দিতে হয়।
কোরবানির মাংস কেটে তা গুছিয়ে দেওয়ার জন্য ওই সময় কসাইখানা কর্তৃপক্ষ মুসলমান কর্মচারী নিয়োগ দেন। যে কারণে ইসলামিক নিয়ম মতো কোরবানি করতে কোনো সমস্যা হয় না।
অষ্ট্রিয়া প্রবাসী সিংহভাগ বাংলাদেশি ভিয়েনায় বাস করেন। রাজধানীর বাইরে গ্রাস, সালসবব্রুর্গ এবং লিনস শহরেও ব্যাপক উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
এসএস/এএসআর