ঢাকা: বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ-উৎসবের আমেজে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় উদযাপিত হয়েছে বাঙালি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
বাঙালি-অস্ট্রিয়ান হিন্দু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ভিয়েনার ফ্লবেলগাসে অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পূজার আয়োজন করে।
গত ১৮ অক্টোবর বোধনের মাধ্যমে শুরু হয়ে ২২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজা শেষ হয়। দুপুর ১২টায় ফ্লবেলগাসে থেকে বিজয়া শোভাযাত্রার মাধ্যমে ভিয়েনার মিলনিয়াম সিটি ও হেন্ডেলসস্কাই হয়ে ঐতিহ্যবাহী দানিউব নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও অস্ট্রিয়ার বিপুল সংখ্যক ভক্ত পূজামণ্ডপে দেবীর দশমী পূজা দর্শন, বিসর্জন এবং শান্তিজল গ্রহণ করেন। দেবী দর্শনে আসা ভক্তদের মূল আকাঙ্খা ছিল- জগতে মানুষে মানুষে শান্তি ও প্রাণিকূলের মঙ্গল কামনা।
বাঙালি-অস্ট্রিয়ান হিন্দু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের আমন্ত্রণে ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে আসেন আন্তর্জাতিক প্রেস ইনস্টিটিউট (আইপিআই) নির্বাহী পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি ও এটিএন বাংলা’র প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল।
এছাড়াও ছিলেন ভিয়েনা বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো: আবু জাফর, কাউন্সেলর শাবাব বিন আহমেদ, অনারারি কাউন্সেলার মি. কমার এরনস্ট গ্রাফট, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী-লেখক-সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতা খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাইফুল ইসলাম কবির প্রমুখ।
পূজা উৎসবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সোনারিয়া, অনুপম সাহা, রুহি দাস সাহা, প্রতাপ কুমার মণ্ডল, রতন সাহা, তপন দাস, বিষ্ণু দাস, শ্যামল রায়, বিতু মণ্ডল, মানিক চন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ।
পুরোহিত ছিলেন সুইডেন প্রবাসী বিষ্ণু চক্রবর্তী। ভিয়েনার ফ্লবেলগাসে ছাড়াও লামগাস এবং ডোনাও ইনজিলে অস্থায়ী মণ্ডপে পূজা-অর্চনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
এসএস/এএসআর