ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আনন্দ উচ্ছ্বাস করছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বিগত বিএনপি ও জোট সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় যুদ্ধাপরাধী এই দুই সাবেক মন্ত্রী নানা সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিসহ দেশে যুদ্ধাপরাধী বলে কিছু নেই বলে নানা মিথ্যা অপপ্রচার করে।
কিন্তু বাঙালি জাতি দেরিতে হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনাকে সমুন্নত রেখে নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যাচ্ছে। আর তাই আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের বিচারের আওতায় ঘাতকদের ফাঁসির রায়ে আটলান্টার প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আজ স্বস্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত। ফাঁসির রায় বহাল রাখার খবরটি শোনা মাত্রই আনন্দের উচ্ছ্বাসে পৃথক পৃথকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এখানকার সংগঠনগুলো।
আটলান্টায় বসবাসরত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মুহাম্মদ আলী মানিক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাচ্ছে। '৭১ বিজয়ের পূর্বমুহুর্তে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের চোখ বেধে নিয়ে গিয়েছিল বধ্যভূমিতে এইসব রাজাকার-আলবদর মুজাহিদ বাহিনী। সেই দিন কোনো আইন-আদালত-বিচার ছাড়াই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল দেশ বরেণ্য মুক্তমনা মানুষদের। মুজাহিদের সাথে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহাল। তাই শান্তি পাচ্ছে সাকা চৌধুরীর হাতে নিহত সেই সব বিদেহী আত্মাও। সাবাশ জননেত্রী শেখ হাসিনা! আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহস আর প্রত্যয়ের জন্য সম্ভব হয়েছে এই দুরূহ কাজ সফলতার সাথে সম্পন্ন করা”।
জর্জিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রহমান এই আনন্দ সংবাদে এক বিবৃতিতে বলেন, এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের ঋণ ভারমুক্ত হল। জাতি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে এই রায় মাইল ফলক হয়ে থাকবে”।
পৃথক পৃথকভাবে এই দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় বহালের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করে রায় কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন জর্জিয়া আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম গাজী ও হুমায়ুন কবির কাওসার, লেখক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক রুমী কবির, সাংস্কৃতিক সংগঠক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, সাংবাদিক এএইচ রাসেল, জর্জিয়া যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির আহবায়ক মোশারফ হোসেন, সাংস্কৃতিক সংগঠক যথাক্রমে এমএইচ আকমল, শামিমুল ইসলাম শামিম, চন্দ্র শেখর দত্ত, আরিফ আহমেদ, সংগঠক যথাক্রমে নজরুল ইসলাম, নেহাল মাহমুদ, শেখ জামাল, সৈয়দ মুরাদ, রণজিৎ বিশ্বাস, মোস্তফা জাহিদ টিটু, অসীম সাহা, শ্যাম চন্দ, ইলা চন্দ, ভাস্কর চন্দ, ইলিয়াস হাসান রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫
ওএইচ/আরআই