ঢাকা, বুধবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিল্প-সাহিত্য

ইসলামী বইমেলায় শফিক মুন্সির বই ‘গন্তব্য’

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০৭, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫
ইসলামী বইমেলায় শফিক মুন্সির বই ‘গন্তব্য’ গন্তব্য বইটি লিখেছেন শফিক মুন্সি

ঢাকা: জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠেয় ইসলামী বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে শফিক মুন্সির বই ‘গন্তব্য’।  

গল্পের পটভূমি একদম সাধারণ।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন তরুণীর জীবনদর্শন, আবেগ-অনুভূতি, প্রাত্যহিক ঘটনাবলি আর কিছু জিজ্ঞাসাকে সামনে এনেছেন লেখক। গল্পের চরিত্রদের দিয়েই দিয়েছেন কিছু উত্তর, কিছু উদাহরণ।  

কিন্তু সব কিছুর সম্মিলিত প্রয়াসে উঠে এসেছে ইসলামের সৌন্দর্য। কীভাবে আমাদের প্রচলিত জীবনধারার নানা কঠিন বাস্তবতার সহজ সমাধান পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, তা গল্পের মোড়কে সামনে এনেছেন লেখক৷

তিন তরুণীর গল্পের মধ্যে ছিল আরও অনেক গল্প। যেগুলো লেখক লিপিবদ্ধ করেছেন খুব আবেগ দিয়ে। এজন্যই হয়ত বইয়ের প্রকাশক উল্লেখ করেছেন, বইয়ের প্রতিটি পাতায় রয়েছে লেখকের হৃদয়ের কথা; অভিজ্ঞতার কথা; যা আপনার হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যাবে।  
 
বইটি পড়তে গিয়ে আমারও তেমনটাই মনে হয়েছে। ছোট্ট বই হওয়াতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে মাত্র এক বসাতেই পড়া গেছে। তবে পুরোটা সময় জুড়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে এক আধ্যাত্মিকতাপূর্ণ সফরের৷
 
বইটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ইসলাম-ধর্ম নিয়ে জানতে আগ্রহী অমুসলিম তরুণী বৃষ্টি। তিনি মহান আল্লাহর ব্যাপারে কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করেন গল্পেরই আরেক চরিত্র মুমুর কাছে। এভাবেই শুরু। নানা প্রশ্নে আর উত্তরে এগিয়ে চলে তাদের গল্প। একটি আত্মহত্যার ঘটনার মাধ্যমে নতুন মোড় নেয় তাদের দুজনের কাহিনি। কোনো গন্তব্যে গিয়ে থামবে তারা? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে তাদের বিশ্বাস, যুক্তি আর সত্যপথের সন্ধানে যুক্ত হতে বাধ্য হবে পাঠক। আর একদম শেষে এসে পাঠকের মনে হতে পারে, আরেকটু কি বাড়ানো যেতো না গল্পের দৈর্ঘ্য! 

বইটির শেষে লেখক পরিচিতিতে উল্লেখ করা হয়েছে লেখক শফিক মুন্সি একটি স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। বেশ কয়েক বছর বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পেশাগত জীবনের সত্যান্বেষী অভ্যাস ও আচার-আচরণ তার লেখক জীবনেও কাজে দিয়েছে। তার এ প্রথম গল্পগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে ২০২২ এ।
 
গল্পটি পড়া শেষে এক সময় মনে হয়েছে এটির হয়ত দ্বিতীয় পর্ব আসবে। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে খুঁজে দেখা গেলো, লেখকের এ একটি মাত্র বই এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। জীবন জটিলতায় ভোগা যে কোনো পাঠকের কাছে বইটি হতে পারে অনুপ্রেরণা এবং আত্মশুদ্ধির এক নতুন পথ খুঁজে পাওয়ার উপলক্ষ্য।  

নিছক গল্প পড়ার জন্য বইটি হাতে নিলেও কেউ হতাশ হবেন না বলেই বিশ্বাস।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।