বরজমুখী প্রস্থান
___________________________________
গিলাফ অথবা অভিরাম পান পাতা
ঘিরে বেঁচে আছি (আমরা) অপ্রিয়-প্রিয় ইলেকট্রন মেঘ।
আমাদের পবিত্র বাটায় পাথরশক্ত বীজ, আপন্ত বিশ্বাস,
ক্রমাগত সুপুরির বাগান...
ঝড়ো হাওয়া এলে বুড়োপনা মেঘেরা শেখে
ঈমানের ফলনেও কিছু থাকে দুর্বার ইঁদুর, ফলবান বিভ্রান্তি,
অথবা এক দানা বিশ্বাস কিংবা বজ্রপাত ঠোঁটে তুলে
চলে যায়, দূরে যায় কোন এক অসুস্থ পাখি...
নাকি পরিপাটি চুন খসে, নেমে আসে আশ্চর্য প্রদীপ!
যেখানে দৈত্যের ছায়ায়—
আলাদিন এবং জ্ঞানবৃক্ষেরা চুম্বক খেলে
দুদিকের দেয়ালের গোড়ায়, গড়ায় অক্ষুণ্ন কুড়াল...
কোথাও প্রয়াত পয়গম্বর অথবা সাতশত শ্লোকে
জর্দা ঢেলে জড়ো হয় নখের জোয়ার
কোথাও সতের রাকাআতের আগেই সুপুরি জবাই হয়
ভেঙ্গে পড়ে অপ্রতিম-প্রতিম নক্ষত্রমুখী গম্বুজ...
দুইদিকে প্রমাণিত সুখ, মাঝখানে টিকে থাকে
টুকটুকে পান রস -জিয়ন্ত লাল—
মাইক্রোস্কোপের তলায় বড় আশ্চর্য ঠেকে…
আর খুব দূরে,
খয়েরের ফুলে লেগে থাকে ভ্রমরের পাঠ
স্বপ্ন একটি দালাল পাখি
অজস্র গোপন
___________________________________
শুনেছি, হিম দূরবীনে দ্বিবীজপত্রী নিঃশ্বাসের ইতিহাস
জেনেছি মিথ্যুক পাখি এবং অন্যসব;
আমাদের গোপন ‘এবং’ বলে কিছু নেই...
সন্ধি থেকে সন্ধিবিচ্ছেদে
অনেক ‘অথবা’, ‘তাহারা’, ‘অন্তরঙ্গ সেকাল’
আমিও অন্যসব, অন্য বিপরীত, অন্য দাঁড়িয়াবান্ধা
বুভুক্ষ চোখে—
মধ্যরাত এবং মধ্যদিন একই বিদীর্ণ হাহাকার!
তবুও এক ঠোকর সম্ভাবনা
ফসফরাস নিভে গেলে,
দোপাটির মত নরম শব্দ আবিষ্কার—
‘ও’, এবং পার্শ্ববর্তী দুই ‘আমি’।
আমাদেরও জমা হবে একান্ত অতীত,
অজস্র গোপনীয় ‘এবং’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৫
টিকে।