বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বে) বিকেলে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের দ্বিতীয় প্রয়াণবার্ষিকী স্মরণে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।
স্মারক বক্তৃতায় অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, মুহম্মদ এনামুল হক একজন নিষ্ঠাবান গবেষক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং বাঙালির সামাজিক ইতিহাসের নানাদিক ছিল তার আগ্রহ, অনুসন্ধান, অধ্যয়ন ও গবেষণার বিষয়। এই চর্চার প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে তার স্বজাতি ও স্বদেশপ্রেম। বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান সম্পর্কেও মুহম্মদ এনামুল হক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন।
তিনি বলেন, মুহম্মদ এনামুল হকের চিন্তার পরিধি ছিল ব্যাপক, গভীরতাও ছিল তার ভাবনায়। এদেশের সমাজ-সংস্কৃতিকে তিনি গভীরভাবে অনুধাবন করতে চেয়েছেন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘কৃষ্টি’ পত্রিকায় প্রকাশিত তার নিবন্ধ বাংলা ভাষার সংগ্রামে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, ড. মুহাম্মদ এনামুল হক গোটা বাংলা অঞ্চলের এক অসাধারণ প্রজ্ঞাবান পণ্ডিত। ভারতীয় ভাষাতত্ত্বের নানা দিক থেকে শুরু করে বাংলার আঞ্চলিক ভাষা পর্যন্ত তার আগ্রহের পরিসর বিস্তৃত ছিল। তিনি শিক্ষাবিদ হিসেবেও ছিলেন অনন্য। বাংলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে তার অবদানও বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো।
তিনি বলেন, দেশহিতব্রতী শিক্ষাবিদ, পণ্ডিত ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের মতো মনীষার প্রাসঙ্গিকতা কখনো ফুরোবার নয়।
স্বাগত ভাষণে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ড. মুহাম্মদ এনামুল হক যেমন ছিলেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একজন গুণী গবেষক, তেমনি ছিলেন একজন সুদক্ষ প্রশাসকও।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বের ২৭, ২০১৮
এইচএমএস/এএ