এমনি এক কাহিনি নিয়েই রচিত হয়েছে নাটক ‘বিষঘুম'। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অনিক নাট্যদলের এ নাটকটি রচনা করেছেন জ্যোতিস্মান চট্টোপাধ্যায়।
এ নাটকে অভিনয় করেছেন ভারতীয় শিল্পী অরূপ রায়, অংশুমান দাশগুপ্ত, গৌতম সেনগুপ্ত, রূপক চন্দ্র, কৃষ্ণন্দু চক্রবর্তী, সৈকত মুখার্জী, সুচিত্রিতা ঘোষ, শুভ্রা বোস, পায়েল রায়, পিয়ালী চট্টোপাধ্যায় ও তপতী ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে, ধর্মীয় অনুভূতিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আরেক নাটকের নাম ‘মেরাজ ফকিরের মা’। ঢাকার নাট্যদল থিয়েটারের এ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রয়াত আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তার প্রয়াণের পরে নাটকটির নবনির্মাণ করেছেন সুদীপ চক্রবর্তী।
এ নাটকের কাহিনিতে দেখা যায়, এক মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়ে একজন মানুষ বেড়ে উঠেছে একটি নামে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর আকস্মিকভাবে সে জানতে পারে তার গর্ভধারিণী মায়ের ধর্ম আর তার ধর্ম এক নয়।
দু’জন মানুষের মধ্যে ধর্ম পরিচয়ে যে ফারাক রচিত হয়, তা কি মা-ছেলের সম্পর্ককে ভাগ দিতে পারে? বা ধর্মের ভিন্নতার কারণে ছেলে কি অস্বীকার করতে পারে তার মাকে?
এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, ত্রপা মজুমদার, মজিবর রহমান জুয়েল, তানজুম আরা পল্লী, মারুফ কবির, সাইফ জোয়ারদার, আবদুল কাদের, তোফা হোসেন প্রমুখ।
শনিবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে মঞ্চস্থ হয় দুই দেশের এ নাটক দু’টি। একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে ‘বিষঘুম’ এবং পরীক্ষণ থিয়েটার হলে প্রদর্শন করা হয় ‘মেরাজ ফকিরের মা’।
এর আগে বিকেলে আবহমান বাংলার গান আর নৃত্যের ছন্দে নাট্যশালা মিলনায়তনের বাইরের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় উৎসবের দ্বিতীয় দিনের আয়োজন। শুরুতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় পথনাটক পরিবেশন করে গতি থিয়েটার। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যসংগঠন নটরাজ ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করে বহ্নিশিখা ও ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী।
এসময় একক সংগীত পরিবেশন করেন আরিফ রহমান ও নবনীতা জাঈদ চৌধুরী অনন্যা। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন আশরাফুল আলম, রোজিনা ওয়ালী লীনা ও ফয়জুল্লাহ সাঈদ। এছাড়াও এ সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নেয় শিশুদের সংগঠন ‘তার কালচারাল একাডমি’।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৮
এইচএমএস/এইচএ/