ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বিজয়ের সুর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
বিজয়ের সুর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সারাদেশে বিজয়ের সুর প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। গান, কবিতা, নাচ ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলছে বিজয়ের ৪৭তম বর্ষ বরণের প্রস্তুতি।

সেই প্রস্তুতির ধারাবাহিকতায় বরাবরের মতো রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরেও শুরু হলো সপ্তাহব্যাপী বিজয় উৎসব। উৎসবের এবারের প্রতিপাদ্য ‘তরুণের হাতে মুক্তির দায়ভার: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী হোক স্বদেশের সুবর্ণ সময়’।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) জাদুঘরের মিলনায়তনে ‘মানবাধিকার দিবস থেকে বিজয় দিবস’ শীর্ষক এই উৎসবের সূচনা হয়।

উদ্বোধনীতে ‘মানবাধিকার ও আগামীর বাংলাদেশ’-শীর্ষক বক্তৃতা দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী।

মিজানুর রহমান বলেন, মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা আত্মত্যাগ করেছিলেন। এই আত্মত্যাগের কথা মনে রেখে, দেশকে মায়ের মতো ভালোবাসতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী বলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশের অনেক আগে স্বাধীন হলেও খুব বেশি এগুতে পারেনি। কারণ পাকিস্তানের শিক্ষার মধ্যে মানবাধিকার ছিল না। বাংলাদেশে মানবাধিকার ছিল এবং এখনও আছে।

আলোচনা পরবর্তী সাংস্কৃতিক পর্বে দলীয়সঙ্গীত পরিবেশন করে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। ভূপেন হাজারিকার ‘মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য’ গানটি দিয়ে শুরু করে তারা একে একে পরিবেশন করে ‘আমরা মানুষের জয়গান গাই’ ও ‘সোনার মোড়ানো বাংলা মোদের’সহ তিনটি গান।

অনুষ্ঠানে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দন। আবৃত্তি পরিবেশন করে কথা আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্র। উদ্বোধনী দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সাংস্কৃৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় ক্যালিক্স প্রি-ক্যাডেট হাই স্কুল ও ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ‘এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, সুষম বিকাশ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ এবং তরুণ আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের কো-চেয়ারম্যান ফাল্গুনী মজুমদার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিবে কন্ঠশীলন, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস বাংলাদেশ।

১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে জাদুঘর মিলনায়তনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর সকালে শিশু-কিশোরদের আনন্দানুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় যাত্রাপালা পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসব।

অন্যদিকে এ আয়োজনের অংশ হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে তিনদিনের অনুষ্ঠানমালা।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।