রোববার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসে কলকাতায় এক সাহিত্য অনুষ্ঠানে কাব্যগ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মোড়ক উন্মোচন করেন সাহিত্য সমালোচক অনিমেষ ঘোষ।
অনিমেষ ঘোষ বলেন, সাংস্কৃতিক এবং প্রকাশনা জগতে এই বই দুই বাংলার মেলবন্ধন ও সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। উদীয়মান ও প্রতিভাবান কবির মেলবন্ধনে সুন্দর শিল্পসৃষ্টি, ছাপার আকারে রূপ পেয়েছে শরিকানে। কবি জয় ভট্টাচার্য বলেন, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো মানুষ জেনেও যে না জানার ভান করে, এই বইটি পড়লে মানুষের মনে নাড়া দেবে। কবিরাই পারে সমাজ পরিবর্তন করতে, অন্তত ইতিহাস তাই বলে।
ম্যাগনামের পক্ষ থেকে আনোয়ার ফরিদি জানান, এই সংকলনে একাধিক কবিতায় দুই বাংলার সম্প্রীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। বইটি কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং বাংলাদেশের একুশে বইমেলা, দু’টিতেই পাওয়া যাবে।
আলাঘর প্রকাশনের পক্ষ থেকে প্রদীপ দাসগুপ্ত বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের ঐতিহাসিক তাৎপর্যের কথা মাথায় রেখেই বিজয় দিবসের দিনটিকে বই প্রকাশের দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
চার কবির এই সংকলনে এসেছে বিভিন্ন আঙ্গিক এবং বিষয়। অরিন্দম চ্যাটার্জী দুই বাংলার কথা বলতে গিয়ে লিখেছেন, সাহিত্য রোজ সীমান্তকে ভাঙে/দুহাত মেলায় বাঙলা বইয়ের পাতা/সন্ধ্যের ঢাকা ছোট গল্পতে মেশে/কবিতায় ভাসে দিনান্তে কলকাতা।
অনিরুদ্ধ মিত্র এক কবিতায় লিখেছেন, আমার আকাশ ভাগ চেয়েছে তোমার রোদ্দুরে/ বিনিময়ে আস্ত সকাল ইচ্ছেমতির পাড়ে/উপায় থাকলে বিলিয়ে দিতাম তোমার আঁচল ভরে।
সংকলনটির শরিকান নামের পেছনেও আছে যথেষ্ট তাৎপর্য। সংকলনের সম্পাদক রতন সেনগুপ্ত জানান, এই চার তরুণ কবি এই সময়ের শরিক। তারা সমাজের ভালো-মন্দের শরিক। শরিকান এই ভাবনা থেকেই এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
ভিএস/আরআর