বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) এক বার্তায় তিনি এ শোক প্রকাশ করেন।
শোকবার্তায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অবদান তুলনারহিত।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী আরও বলেন, তার কবিতার চরিত্র ‘অমলকান্তি’ কিংবা ‘কলকাতার যীশু’ কবিতাপ্রেমী সাধারণ পাঠকের কাছে কিংবদন্তির মর্যাদায় অভিষেক লাভ করেছে। কথাশিল্প, শিশুকিশোর সাহিত্য এবং ব্যাকরণ চর্চায়ও নীরেন্দ্রনাথের অসামান্য সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। প্রথম কবিতার বই ‘নীল নির্জন’ থেকে আত্মজীবনী নীরবিন্দু পর্যন্ত ব্যক্ত হয়েছে শাশ্বত মানুষের হৃদয়ের ভাষা। সাময়িকপত্র সম্পাদনায় তার অবদানও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) কলকাতার আর এন টেগোর হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত রোগে প্রয়াত হন কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তার বয়স হয়েছিলো ৯৪ বছর। তার লেখা ‘উলঙ্গ রাজা’ কবিতায় মজার ছলে সমাজতান্ত্রিক মো-সাহেবি তথা পূর্ণাঙ্গ সমাজব্যবস্থাকে তীব্র ব্যঙ্গ করেছিলেন তিনি। যা সমাদৃত হয়েছিলো সমাজের সব মহলেই।
১৯২৪ সালের ১৯ অক্টোবর অবিভক্ত ভারতের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন নীরেন্দ্রনাথ। জন্মসূত্রে বাংলাদেশি এই লেখক এদেশের মানুষ ও মৃত্তিকার প্রতি তার চির-অমলিন অনুরাগ প্রকাশ করে গেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রয়াণে আমি শোকাহত। এটা আমাদের সবার জন্য একটি বড় ক্ষতি। বাংলা সাহিত্যে তার অসামান্য অবদান তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে। ২০১৭ সালে তাকে আমরা বঙ্গ বিভূষণ সম্মানে ভূষিত করেছিলাম। তার পরিবারকে প্রতি আমার সমবেদনা জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
এইচএমএস/এএটি