ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

খুলনা বিভাগীয় বইমেলার উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
খুলনা বিভাগীয় বইমেলার উদ্বোধন মেলার উদ্বোধন করছেন শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনা বিভাগীয় বইমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে আট দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।

খুলনা সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে ও খুলনা জেলার প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ মেলা চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

উদ্বোধনকালে জাফর ইকবাল বলেন, সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে কল্পনাশক্তি কেবল মানুষের আছে, আর এই কল্পনাশক্তিকে জাগ্রত করতে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বক্তব্য রাখছেন শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।                                          ছবি: বাংলানিউজতিনি আরও বলেন, স্মার্টফোনের ছোট্ট একটা পর্দায় আমরা আমাদের পৃথিবীটাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলছি। আমরা অবশ্যই প্রযুক্তির ব্যবহার করবো তবে, প্রযুক্তি যেন আমাদের ব্যবহার করতে না পারে।

ফেসবুক ও ড্রাগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর মাদক নিতে না পারলে মাদকসেবীদের যে অবস্থা হয়, ফেসবুক ব্যবহারে আমাদের মধ্যে একই আচরণ লক্ষ্য করা যায়। তাই তিনি কোমলমতি বাচ্চা ও তরুণদের হাতে স্মার্টফোন না দিয়ে বই তুলে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে এখন ভালোর চেয়ে খারাপ জিনিস বেশি প্রবেশ করেছে। এগুলো আমাদের তারুণ্যের শক্তিকে উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ঘরে ঘরে বইপড়া আন্দোলন শুরু করা।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কবির, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি মো. সাহেব আলী। স্বাগত জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মাঈন উদ্দিন হাসান।

খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত এ মেলা প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে। তবে, ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।