ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বারীণ মজুমদারের জন্মশতবর্ষ উদযাপন

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
বারীণ মজুমদারের জন্মশতবর্ষ উদযাপন

ঢাকা: ‘উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের ধারক পণ্ডিত বারীণ মজুমদার। তিনি একদিকে যেমন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে দাঁড় করিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়, তেমনি সঙ্গীতের মাধ্যমে নিজের জীবনকে করেছেন বর্ণাঢ্য।

আমরা যদি বর্ণাঢ্য মানুষগুলোকে স্মরণ না করি, শ্রদ্ধা না করি তাহলে আমাদের সংস্কৃতি হারিয়ে যাবে। ’

পণ্ডিত বারীণ মজুমদারের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই বলছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।

তিনি বলেন, বারীণ মজুমদারকে তার বাবা জন্মলগ্ন থেকেই সংগীত শিখিয়েছেন। লড়াই করেছেন সংগ্রাম করেছেন, একুশে পদক পেয়েছেন, স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। পণ্ডিত বারীণ মজুমদারকে নিয়ে আমার মনে হয় আরও বড় অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন। তার বর্ণাঢ্য জীবনকে সকলের সামনে আনা দরকার অনুসরণীয় করে। আগামী ৩ অক্টোবর তার মৃত্যুবার্ষিকী, সেদিনকে ঘিরে উচ্চাঙ্গ সংগীত ও সম্মেলনের আয়োজন করা যেতে পারে। যদি আয়োজন করা হয়, তবে শিল্পকলা একাডেমি এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সে আয়োজনে সঙ্গে থাকবে।

সংগীতগুরু-পণ্ডিত বারীণ মজুমদার ছিলেন দেশের এক অনন্য রাগসঙ্গীত বিশারদ ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী। তাকে আগ্রা ও রঙ্গিলা ঘরানার যোগ্য উত্তরসাধক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৩ সালে একুশে পদক এবং ২০০২ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এই গুণিজনের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, তথ্যচিত্রের প্রদর্শন ও শাস্ত্রীয়সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে এসময় স্মরণ করা হয় তাকে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। পরিবারের পক্ষ থেকে স্মৃতিচারণ করেন পণ্ডিত বারীণ মজুমদারের বড় ছেলে পার্থ প্রতীম মজুমদার এবং কনিষ্ঠ ছেলে বাপ্পা মজুমদার।

পার্থ প্রতীম মজুমদার ও বাপ্পা মজুমদার বলেন, বাবা তার মতো করে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। বাবা আমাদের বেসিক একটা শিক্ষা দিয়েছেন। সেটা হল সুর দুই রকমের হয়। একটি অসুরে সুর অন্যটি সুরের সংগীত। বাবা সবসময় সুরের সংগীতটাই করতে বলেছেন।

আলোচনা শেষে বারীণ মজুমদারের নিজ কণ্ঠে গাওয়া কিছু গান তুলে ধরা হয় এবং বর্তমান শিল্পীদের শাস্ত্রীয়সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এসময় শিল্পী অভিপ্রিয় চক্রবর্তী ভূপালী রাগে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ধ্রুপদী সে সুরের আবহে শেষ হয় আয়োজন।

একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার ছাড়াও বারীণ মজুমদার তার জীবদ্দশায় বরেন্দ্র একাডেমির সংবর্ধনা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে গুণীজন সম্মাননা, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ থেকে রবীন্দ্র পদক, বেতার টেলিভিশন শিল্পী সংসদ থেকে শিল্পী শ্রেষ্ঠ খেতাবসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
এইচএমএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।