ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

কালি ও কলম তরুণ কবি-লেখক পুরস্কারে ভূষিত চার সাহিত্যিক

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২১
কালি ও কলম তরুণ কবি-লেখক পুরস্কারে ভূষিত চার সাহিত্যিক

ঢাকা: সাহিত্যের চারটি শাখায় আইএফআইসি ব্যাংক নিবেদিত কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার-২০২০ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় একটি অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি একযোগে কালি ও কলম এবং আইএফআইসি ব্যাংকের ফেসবুক পেজে সম্প্রচার করা হয়।

এবছর কথাসাহিত্যে ‘তিমিরযাত্রা’ গ্রন্থের জন্য মোজাফ্ফর হোসেন, প্রবন্ধ-গবেষণায় ‘চলচ্চিত্রনামা’ গ্রন্থের জন্য মাসুদ পারভেজ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্যে ‘১৯৭১: বিধ্বস্ত বাড়িয়ায় শুধুই লাশ’ গ্রন্থের জন্য ইজাজ আহমেদ মিলন এবং শিশু-কিশোর সাহিত্যে ‘স্কুলে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল’ গ্রন্থের জন্য রণজিৎ সরকার আইএফআইসি ব্যাংক নিবেদিত কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০২০ অর্জন করেছেন।

বিচারকমণ্ডলীর সিদ্ধান্ত অনুসারে এবার কবিতা বিভাগে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ জমা না পড়ায় এবছর চারটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়।

আয়োজনের শুরুতেই ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং প্রয়াত ‘কালি ও কলম’ সম্পাদক আবুল হাসনাতকে স্মরণ করে দুটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়। এরপর বিচারকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে বিজয়ীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ।

আয়োজনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ওয়াসি আহমেদ এবং পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পবিত্র সরকার।

কথাসাহিত্যিক ওয়াসি আহমেদ বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘দেখা গেছে আগের সব কালি ও কলম পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকরা তাদের পরবর্তী কাজগুলো দিয়ে আরও সফল এবং পরিণত হয়েছেন, আশা করি আপনারাও সেই ধারা অব্যাহত রাখবেন।

অধ্যাপক পবিত্র সরকার বলেন, আমাদের জীবনের মুহূর্তগুলোকে মূল্যবান করে তোলার জন্য সব সাহিত্যিক কাজ করে যাচ্ছেন, তাই তাদের ধন্যবাদ। আরও ধন্যবাদ জানাই কালি ও কলমের মতন সেসব প্রতিষ্ঠানকে যারা এসব সাহিত্যচর্চাকে প্রতিনিয়ত নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।

আয়োজনে আরও বক্তব্য দেন আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার। তিনি বলেন, আইএফআইসি ব্যাংক যাত্রার শুরু থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উদ্যোগের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা রেখেছে। আমরা বিশ্বাস করি সাংস্কৃতিক পরিশীলন ছাড়া একটি সমাজের সর্বাত্মক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

সবশেষে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী অদিতি মহসিনের সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আয়োজন শেষ হয়। আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন ত্রপা মজুমদার ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২১
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।