শামীম খান। বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।
চতুর্থ পর্ব
আমাদেরকে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ সর্বাধুনিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নভোভরোনেস পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ঘুরিয়ে দেখানো হয়। সর্বাধুনিক এ কারণেই যে এ প্রকল্পে সর্ব শেষ উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে রাশিয়ার বিভিন্ন স্থানে ১০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩৬টি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। আরও ৬টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নাধীন। এই প্রকল্পগুলোতে মোট ৮টি ইউনিট চালু করা হবে। এছাড়া আরও ২টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নক্শা তৈরির কাজ চলছে। এই প্রকল্প দুটিতে ৬টি ইউনিট থাকবে। পাশাপাশি নভোভরোনেসসহ যেসব প্রকল্পের ইউনিটের মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেগুলো সংস্কার করে আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনাও রয়েছে। সব মিলিয়ে ১৮টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মোট ৬৫টি ইউনিট চালু ও চালুর প্রক্রিয়ায় আছে।
রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে নভোভরোনেসে দেশের সব চেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে সেখানে গড়ে উঠেছে আধুনিক শহর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তিধর রাষ্ট্র রাশিয়ায় (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৭ সালে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৭টি ইউনিট রয়েছে। এখানকার ৭ নম্বর ইউনিটে রাশিয়ার সর্বশেষ প্রযুক্তি তৃতীয় প্লাস (৩ জি+) প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ মডেলের রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে। সুনামির আঘাতে জাপানের ফুকুসিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম এই রিয়্যাক্টর উদ্ভাবন করেছে রাশিয়া।
বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে এই নভোভরোনেসের রেফারেন্স প্লান্ট। রূপপুরের দুটি ইউনিটেই ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হবে। রোসাটমের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা জানালেন, রাশিয়া এই ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর উদ্ভাবনের পর বিভিন্ন দেশ এটির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। এখন পর্যন্ত ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, চীন, ভারত, বেলারুশ প্রভৃতি দেশে অত্যাধুনিক এবং সর্বোচ্চ নিরাপদ এই ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর প্রযুক্তিটি বেছে নিয়েছে। রোসাটম এসব দেশে ভিভিইআর- ১২০০ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ১২টি দেশে রোসাটমের বাস্তবায়নাধীন ৩৬টি ভিভিইআর প্রযুক্তির পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে উৎপাদন শুরু করবে। প্রতিটি ১২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই প্রকল্পে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দুইটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালে ভুমিকম্প ও সুনামির ফলে জাপানের ফুকুশিমা দাইইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে ১৯৮৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে (বর্তমানে এটি ইউক্রেনের মধ্যে) দুর্ঘটনার ইতিহাস রয়েছে। নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের এ ধরণের আশঙ্কার কথা শোনা যায়। রোাসাটম ও নভোভরোনেসে কর্মরত বিশেষজ্ঞরা জানালেন, রূপপুরে যে ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হবে এই ধরনের রিয়্যাক্টরে দুর্ঘটনার কোনো আশঙ্কা নেই। প্লান্টে কোনো কারণে বিপর্যয় দেখা দিলে এই রিয়্যাক্টর মুহূর্তের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এর পর আর বিস্ফোরণের সুযোগ নেই। সর্বশেষ ফুকুশিমা দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকে স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত এই রিয়্যাক্ট উদ্ভাবন করেছে রাশিয়া। এর আগে রশিয়া যে রিয়্যাক্টর ব্যবহার করেছে এগুলো ভিভিইআর-১০০০ মডেলের।
নভোভরোনেসের যে ৭ নং প্লান্টের যেটিতে ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে এই প্লান্টের উপ-প্রধান প্রকৌশলী ইগর গুসেভ জানান, বাংলাদেশ এই ধরনের একটি প্রকল্প বাস্তায়ন করছে এটা তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে এই ডিজাইন (ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর) বেছে নেওয়া। এতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো কারণে এই ডিজাইনের প্লান্টে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেও এতে যে ক্যারিক্যাচার রয়েছে তা নিরাপত্তার জন্য কাজ করে। জাপানের ফুকুসিমা পাওয়ার প্লান্ট যেটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল সেখানে এখন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব এবং এর ম্যাটেরিয়াল, পানি, গ্যাস বাইরে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিবেশের ওপর যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে জন্যও নেওয়া হয়েছে কার্যকর পদক্ষেপ। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিবেশের ওপর রেডিয়েশনের প্রভাব পড়ছে কিনা সেটা জানার জন্য ৩ কিলোমিটারের মধ্যে চারদিকে ৩৩টি মনিটিরিং সেন্টার (পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) রয়েছে। প্রকল্পের সীমান্তের (নির্দিষ্ট এলাকার) বাইরে এক কিলামিটারের মধ্যে জীব বৈচিত্রের ওপর কোনো প্রভাব পড়ছে কিনা এর জন্য প্রতিনিয়তই ইকোলজিক্যাল রিসার্চ করা হয়। রেডিয়েশনের প্রভাব ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এক শ’ দুই হেক্টর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই নভোভরোনেস পাওয়ার প্লান্টের চার দিকে ৩ থেকে ৭ কিলোমিটারের মধ্যে অনেকগুলো জনবসতিপূর্ণ গ্রাম রয়েছে। ১৯৫৭ সালে নভোভরোনেসে যখন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়, তখন সেখানে মাত্র দেড় শ’পরিবার বসবাস করতো। বর্তমানে সেখানে ৩১ হাজার পরিবারের বসবাস। সেখানে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে বসবাস করছেন।
নভোভরোনেসের তথ্য কেন্দ্রের প্রধান ইউরি জানালেন, রেডিয়েশনের প্রভাব ধরা পড়লে বা নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি হলে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ জন্যই এই ৩৩টি মনিটরিং সেন্টার রয়েছে। এখানে জনস্বাস্থ্য ও জীব বৈচিত্রের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই।
এই সেন্টারগুলোর পর্যবেক্ষণে কখন, কী অবস্থা উঠে আসছে এ সংক্রান্ত সব তথ্য জনসাধারণের জানানোর জন্য সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাশিয়ার প্রত্যেকটি পরমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও অনুরূপ সব ব্যবস্থা থাকবে বলেও সেখানকার বিশেষজ্ঞরা জানালেন। নভোভরোনেস প্রকল্প পরিচালনার জন্য যে কন্ট্রোল সেন্টার রয়েছে সেখানে বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যারা পরিচালনা করবেন তাদের প্রত্যেককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রাশিয়ায় অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা রয়েছেন। আবার রাশিয়াতে পড়াশোনা শেষ করার পর যারা রূপপুর পামাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়োগ পেয়েছেন তাদেরকেও সেখানে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। কয়েকটি ব্যাচে দীর্ঘ মেয়াদে এরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। আমরা যখন যাই তখন সেখানে ১৪০ জন ছাত্রছাত্রী কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া ধারাবাহিক এবং অব্যাহত থাকবে। এই কন্ট্রোল সেন্টারের প্রধান প্রশিক্ষক নিকলাই জানান, এখান থেকেই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে দেওয়া হয়। প্লান্ট চালানোর জন্য এখানে প্র্যাক্টিক্যাল ও থিওরিটিক্যাল দুই ধরণের প্রশিক্ষণই দেওয়া হয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার বিশেষজ্ঞ জনশক্তি তৈরি করতে মস্কোর মেফি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ এবং রাশিয়ার সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৫শ’র বেশি ছাত্রছাত্রীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে এবং প্রতি বছরই পাঠানো হচ্ছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য এভাবে কয়েক হাজার দক্ষ কর্মী ও বিশেষজ্ঞ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। সেখানে প্রশিক্ষণরত বাংলাদেশের রুহুল আমিন ও খাদিজা আক্তারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়। তারা জানালেন, তাদের প্রশিক্ষণ হচ্ছে ক্যামেস্ট্রি (রসায়ন) রিলেটেড বিষয়গুলো। যেমন- ওয়াটার ট্রিটমেন্ট অর্থাৎ প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ে সার্কিটে যে পানি ব্যবহার করা হয় সেই পানির কোয়ালিটি মেইনটেইন সংক্রান্ত বিষয়, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা), সেফটিসিস্টেম, রেডিয়েশন মনিটরিংসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর। তবে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণের পর এদের আবার বাংলাদেশেও (রূপপুর প্রকল্প শুরুর পর) রাশিয়ার এক্সপার্টরা হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেবেন। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর রাশিয়ার এক্সপার্টরা ৫ থেকে ৬ বছর পরিচালনা করবেন। এর পর বাংলাদেশের তৈরি হওয়া বিশেষজ্ঞদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
১৯৫৭ সালে নভোভরোনেস পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের পর থেকেই এখানে শহরের গোড়াপত্তন হয়। রাশিয়ার সরকার বিভিন্ন অবকাঠোমো নির্মাণের মধ্য দিয়ে এ শহর গড়ে তোলে। স্কুল, কলেজ, স্টেডিয়াম, সুইমিংপুল, মার্কেট, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান, বড় বড় শপিংমল গড়ে উঠেছে এ শহরে। এখানে আছে মিউনিসিপ্যাল (পৌর) করপোরেশেন। বর্তমানে এ পৌর করপোরেশন এলাকায় প্রায় ৩২ হাজার পরিবার বসবাস করে। সোভিয়েত আমলে এখানকার জনসংখ্যা আরও বেশি ছিলো। এখানে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই স্টেডিয়াম রয়েছে। ক্রীড়াকে উৎসাহিত করার জন্য রোসাটম এ স্টেডিয়ামগুলো করে দিয়েছে। শিক্ষা পতিষ্ঠানের বাইরেও শহরে বড় বড় স্টেডেয়িাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি আইস হকি স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে বরফের উপর হকি খেলার পাশাপাশি সেখানে শিশুদের স্কেটিং প্রশিক্ষণ ও প্রযোগিতার ব্যবস্থাও রয়েছে। এখানে এক হাজার শিশু আইস স্কেটিং করে। দুপুরে আমরা যখন সেখানে গেলাম দেখলাম বরফ আচ্ছাদিত মাঠে শিশুরা স্কেটিং করছে। মাঠটি অ্যাকুরিয়ামের মতো অর্থাৎ কাাচ দিয়ে ঘেরা। নভোভরোনেসে ৬টি আইস হকি টিম রয়েছে। দিনের বেলায় শিশুরা আইসে স্কেটিং করে, সন্ধ্যায় এখানে বড়দের হকি খেলা হয়।
স্টেডিয়ামের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানালেন, এখানে আঞ্চলিক আইস হকি প্রতিযোগিতায় নভোভরোনেসের বাইরে রাশিয়ার জাতীয় চাম্পিয়ন টিমসহ ১০টি জেলার ১২টি টিম অংশ গ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতায় নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের নিজস্ব টিমও অংশ নেয়। আইস হকি রাশিয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। এই প্রতিযোগিতার সময় এখানে প্রায় ৬০ হাজার লোক সমবেত হয় খেলা দেখতে। সাংস্কৃতিক ও বিনোদনেরও বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এই স্টেডিয়ামে শিশুদের জন্য নৃত্যের ব্যবস্থাও রয়েছে। এখানে ১২০ জন শিশু নৃত্য করে। নভোভরোনেস মিউনিসিপ্যাল করপোরেশেনের মেয়র নিকলাই নিচাগা জানান, এখানে এই আধুনিক শহর গড়ে উঠতে সময় লাগে মাত্র ১০ বছর। শিক্ষা, ক্রীড়া, শিল্প-সংস্কৃতিসহ সব ধরনের নাগরিক সুবিধাই রয়েছে এখানে। রোসাটমের পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারের সহযোগিতায় পরিকল্পিভাবে শহর গড়ে তোলা হয়েছে। সরকারই এ সব কিছুর ব্যবস্থা করেছে। চলবে...
সোভিয়েত ঐতিহ্যকে ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে রাশিয়া (১)
সোভিয়েত ঐতিহ্যকে ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে রাশিয়া (২)
সোভিয়েত ঐতিহ্যকে ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে রাশিয়া (৩)
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২১
নিউজ ডেস্ক