‘আমি বেঁচে থাকি সন্ধ্যামাখা জলের গন্ধে’ শিরোনামে কবি শিহাব শাহরিয়ারের কবিতার আলোচনা ও একক আবৃত্তিসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার (১৪ মে) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
শিহাব শাহরিয়ারের প্রকাশিত ১১টি কবিতাগ্রন্থ থেকে বাছাই করে ২০টি কবিতার আবৃত্তি করেন নন্দিত আবৃত্তিশিল্পী আব্বাস ফারুক। দুটি দ্বৈত কবিতা আবৃত্তি করেন তামান্না তিথি ও আব্বাস ফারুক।
কবিতার আলোচনায় অংশ নেন—কবি নাসির আহমেদ, কবি অনিকেত শামীম ও কবি সৌম্য সালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শক্তিমান কবি কামাল চৌধুরী।
কবি সৌম্য সালেক বলেন, সমকালীন বাংলা কবিতার একজন খ্যাতিমান কবি শিহাব শাহরিয়ার। তাঁর কবিতা আমাদের গ্রাম, জনপদ, নদী-মাতৃকার অর্থাৎ বাংলার চিরায়ত সৌন্দর্য চমৎকারভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলার প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য-সংস্কৃতি কৃত্রিমতার সংক্রমণে ক্রমশ নষ্ট হচ্ছে, তা দেখে কবি বেদনাহত হচ্ছেন।
কবি অনিকেত শামীম বলেন, আমাদের সময়ের প্রতিভাবান কবিদের অন্যতম একজন শিহাব শাহরিয়ার। গ্রাম-মফস্বল, নগর এবং বিশ্বের বেশ কিছু দেশ ভ্রমণ-অভিজ্ঞ শিহাব তাঁর কবিতায় নতুনত্ব এনে ইতোমধ্যে সাড়া জাগিয়েছেন।
কবি নাসির আহমেদ বলেন, শিহাব শাহরিয়ার অত্যন্ত আধুনিক কবি। যেমন বিষয় বৈচিত্র্য, তেমনি আঙ্গিক, ছন্দ, উপমার কারুকাজে তাঁর কবিতা হয়ে ওঠে নান্দনিক ও পাঠকগ্রাহী। আমার পাঠে তাঁর অসংখ্য কবিতা নিয়েছি, দেখেছি, একদিকে প্রথম জীবনের নদীগন্ধা এবং বর্তমানের নাগরিক জীবন যন্ত্রণা ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এক অসম্ভব সুন্দর কারিগর শিহাব শাহরিয়ার। প্রেম-বিরহের কবিতা রচনাতেও তিনি মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন।
সভাপতির ভাষণে কবি কামাল চৌধুরী বলেন, শিহাব শাহরিয়ার বাংলা কবিতার একজন অপরিহার্য কবি। কবিতা নিয়ে তাঁর যে নিষ্ঠা এবং মনোযোগ তা অসাধারণ। তাঁর প্রচুর কবিতায় ফুটে উঠেছে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার অসংখ্য জীবনচিত্র। তিনি বাংলা কবিতায় যে সব পাঠক-নন্দিত কবিতা উপহার দিয়েছেন, বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের জনপদের জীবন নিয়ে, তাতে আমরা শিহাব শাহরিয়ারকে বলতে পারি—‘ব্রহ্মপুত্রের কবি’। নিজস্ব স্টাইল দাঁড় করিয়ে তিনি যেভাবে কবিতায় হাঁটছেন, সেই চলা থামানো যাবে না, কবিতার কলম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে অনেক দূর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এমজেএফ