ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় নজর কাড়ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যে তৈরি স্টলগুলো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
বইমেলায় নজর কাড়ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যে তৈরি স্টলগুলো

ঢাকা: বইমেলায় স্টল কিংবা প্যাভিলিয়নগুলোর নান্দনিকতা প্রতিবারই নজর কাড়ে। সুপারবোর্ড কিংবা ককশিটসহ নানা উপকরণে বই এর আদলে প্রতীকী নানা বিষয় দিয়ে এসব স্টল কিংবা প্যাভিলিয়ন বৈচিত্রময় করে তুলতে প্রকাশনীগুলোর কমতি থাকে না।

তবে এবার একদম গ্রামীণ ঐতিহ্যের উপকরণ ছন, বাঁশ, বেত, শীতল পাটি দিয়ে তৈরি স্টল আর প্যাভিলিয়নগুলো মেলায় আসা পাঠক-দর্শনার্থীদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টিএসসি সংলগ্ন গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতেই আলাদাভাবে চোখে পড়ে বেড়া আর ছনের তৈরি আকাশ প্রকাশনীর প্যাভিলিয়ন। শুধু আকাশ প্রকাশনীই নয়, শ্রাবণ, বায়ান্নসহ গ্রামীণ সংস্কৃতিকে তুলে ধরা একাধিক স্টলকে ঘিরে দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে। চলে বই দেখার পাশাপাশি ছবি তোলার প্রতিযোগিতা।

গ্রামীণ ঐতিহ্যকে উপস্থাপন করে স্টল তৈরি  সম্পর্কে আকাশ প্রকাশনীর মালিক আবুল হাসান আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদেরটা মূলত একটা প্যাভিলিয়ন। বাণিজ্য মেলার সঙ্গে তুলনা করলে দেখতে পাবেন বইমেলার প্যাভিলিয়নগুলো হয় দোকানের মতো, চারিদিকে খোলা। কিন্তু আমরা এবার একটা নতুন আঙ্গিকে করার চেষ্টা করেছি; যাতে গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে এসে পাঠক-দর্শনার্থীদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। এর ফলাফল আমরা ইতোমধ্যেই দেখতে পাচ্ছি। প্রচুর পরিমাণে দর্শনার্থী ভিড় করছেন এবং ছবি তুলছেন। প্রচুর পরিমাণে মানুষ যে প্যাভিলিয়নে আসছে এবং দেখছে সেটাকে আমরা বেশি উপভোগ করছি।

মেলায় আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মাসুম খন্দকার‌ এসব স্টলের প্রশংসা করে বলেন, অন্যান্য স্টলগুলো সাধারণত গতানুগতিক মানের। বাইরে থেকে তাদের বইসহ সবকিছুই দেখা যায়। কিন্তু এই স্টলটি ভিন্ন। বইমেলায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে এই স্টলটি নজরে পড়ে। আমার মনে হয় যে কেউ এই স্টলে অন্তত একবার হলেও ঘুরে যেতে চাইবেন। তাদের ধারণাটা দারুণ এবং প্রশংসার দাবি রাখে।

বাঁশ ও শীতল পাটি দিয়ে তৈরি বায়ান্ন প্রকাশনীর স্টলটিও নজর কাড়ছে সাধারণ দর্শনার্থীদের। বায়ান্ন প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী তৌফিকুল হাসান শুভ জানান, মূলত ভিন্ন কিছু করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই আয়োজন। আমাদের প্রকাশনীর নাম বায়ান্ন এর সঙ্গে দেশের ঐতিহ্যের একটা সংযোগ রয়েছে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের আমাদের স্টলের প্রতি আগ্রহী করতে এবং দেশের বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যকে বইমেলার মাধ্যমে তুলে ধরতে আমরা এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগটা নিয়েছি। যে উদ্দেশ্যে আমরা ভিন্নধর্মী প্রয়াস নিয়েছিলাম, আমার মনে হয় সে উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে। প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম হচ্ছে, আমাদের বই দেখছে, কিনছে সবকিছু মিলিয়ে ভালো যাচ্ছে এবারের বইমেলা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এদিন বরাবরের মতো মেলার গেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় বিকেল তিনটায়। তবে, ছুটির দিন না হওয়ায় অতিরিক্ত ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
এসকেবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।