ঢাকা: নানা বয়সী পাঠকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। আগামীর পাঠক তৈরিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় ‘শিশুপ্রহর’ হিসেবে নির্ধারণ করেছে বাংলা একাডেমি।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মেলার ১১তম দিনে দেখা গেছে, বেলা ১১ টায় মেলার দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বরাবরের মতো অভিভাবকদের হাত ধরে মেলায় প্রবেশ করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের শিশু কর্নারে তারা ভিড় জমায়। শিশুপ্রহর চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন পাশাপাশি শিশু প্রহর উপলক্ষে সকাল থেকেই মেলায় দর্শনার্থীদের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিক্রয়ও যথেষ্ট ভালো হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। নিজের মত নিজের সন্তানদেরও বইপ্রেমী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বইপ্রেমীরা পরিবারসহ ছুটে আসছেন নানা প্রান্ত থেকে। বই পছন্দ করতে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এই স্টল থেকে অন্য স্টলে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। সন্তানের বায়না অনুযায়ী কিনছেন বই।
রাজধানীর আসাদ গেট এলাকার বাসিন্দা বাসিত আল হাকিম নিজের সাত বছরের সন্তানকে নিয়ে এসেছেন বইমেলায়। জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বাচ্চার তো অনেক চাহিদা। ওর কার্টুন আর ভূতের গল্পের প্রতি ঝোঁক বেশি। আজকে শুধু ওর জন্যই ৪টা বই কিনলাম। ওতো আরও চায়।
নিজের দুই বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে আকলিমা আক্তার এসেছেন বইমেলায়। পেশায় একজন নার্স।
তিনি বলেন, দুজনের জন্যই বই কিনেছি। ওদের বাবা দেশের বাইরে আছে। তাই দায়িত্ব আমার উপর এসে পড়েছে। বইমেলায় আসলাম, বাচ্চারা নিজে পছন্দ করে বই কিনতে পেরেছে এতে তারা খুশি অনেক। তাদের এই একটি খুশির মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্যই তো আমাদের এই প্রচেষ্টা।
শিলা প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী রোকেয়া আক্তার জানালেন, আগের সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহের শিশু প্রহরে বিক্রি ভালো হচ্ছে। এখন যেহেতু সময় যাচ্ছে পাশাপাশি নতুন নতুন বই এসেছে তাই বাচ্চাদের বই গুলো পছন্দ হচ্ছে আর অভিভাবকরা বাচ্চাদের পছন্দের বই কিনছেনও।
শিশুর পড়া প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী নুসরাত জাহান বলেন, বিক্রি যথেষ্ট ভালো। আজকে অনেক বেশি ভিড়। হয়তো সবাই বই কিনছে না তারপরেও বই কেনার হার বেড়েছে। বেশিরভাগ অভিভাবক চাকরিজীবী হওয়ায় তারা সাধারণত একবারের বেশি বইমেলায় আসতে পারেন না। তাই তারা প্রথমবারেই তাদের বাচ্চাদের পছন্দের বইগুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এসকেবি/এসএএইচ