ঢাকা, শনিবার, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১ শাবান ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলা শুরু শনিবার, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৫
বইমেলা শুরু শনিবার, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা চলছে বইমেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে। এ বছর বইমেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এদিন বিকেল ৩টায় মেলা উদ্বোধন করবেন।

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।

বাংলা একাডেমি জানায়, বইমেলায়  স্টল বরাদ্দ পেয়েছে ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৯৯টি স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে, ৬০৯টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসছে। মেলায় ৩৭টি প্যাভিলিয়ন থাকবে -একটি বাংলা একাডেমিতে এবং ৩৬টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। লিটল ম্যাগাজিন কর্নারটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছের নিচে থাকবে।  

উদ্বোধনের পর শনিবার বিকেল ৫টা থেকে মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইমেলা। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া)।

এ বছর প্রকাশিত বইয়ের গুণগতমানের বিচারে দেওয়া হবে বিভিন্ন পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’, ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’, ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ ও ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’।

এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। তবে আঙ্গিকে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানের কারণে গতবারের মেলার থেকে বের হওয়ার পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির গেটের কাছাকাছি জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যাান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট চারটি প্রবেশ ও বাহির পথ থাকবে।

খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। খাবারের স্টলগুলোকে এবার বিশেষভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে। শিশুচত্বর মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে।

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। সুতরাং অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের অমর একুশে বইমেলার প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। এবারের অমর একুশে মেলায় গণ অভ্যুত্থানের নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বইমেলায় থাকছে ‘জুলাই চত্বর’। মেলায় বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হবে গণঅভ্যুত্থানকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৫
এফএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।