মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেছেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় গত বছর বাংলা একাডেমির বিক্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। এবার বাংলা একাডেমির বই বিক্রির পরিমাণ এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।
রোববার বিকেলে বাংলা একাডেমি ভবনে গত ১৫ দিনের মেলা সম্পর্কে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে এবারের মেলার ১৪তম দিনে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি তার ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ; এক দিনে ৬ লাখ ৮ হাজার ২২০ টাকার বই বিক্রি করেছে বলে শুক্রবার বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শামসুজ্জামান খান বলেন, গত ২২ জানুয়ারি আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমাদের কর্মকর্তারা মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে মেলার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এবার সময় স্বল্পতার কারণে আমাদের বেশ কিছু ভুল-ত্রুটি থাকলেও আশা করি আগামী বছর এসব কাটিয়ে উঠতে পারবো।
তিনি জানান, আগামী বছর প্রকাশকদের অনেক বেশি জায়গা দেওয়া হবে এবং কেউ যদি প্যাভিলিয়ন চায় তবে তাকে প্যাভিলিয়ন দেওয়া হবে।
প্রকাশনীগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, মাত্র কয়েকটি ছাড়া অধিকাংশ প্রকাশনীর নিজস্ব সম্পাদক, রিভিউয়ার, প্রুফ রিডার নেই। তাছাড়া বই ছাপার মানও অত্যন্ত নিম্নমানের। প্রকাশনীগুলোকে এসব দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর মেলায় প্রায় ৪ হাজার বই প্রকাশিত হলেও মাত্র ২০০ থেকে ২৫০টি বইয়ের বেশি বইকে ভালো মানের বই বলা যায় না।
রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। রাজনীতিতে যারা খুব ছোট পদে আছেন তাদেরও দেখা যায় ৮০০ একর জমি আছে। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধুর মতো রাজনীতিবিদদের এতো সম্পদ ছিল না। আমি মনে করি, বইমেলার মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতির ভিত্তি আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং অপসংস্কৃতি থেকে জাতিকে বের করে নিয়ে আসবে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা আমাদের স্বাধীনতাকে আরও শক্তিশালী করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪