ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

রৌদ্রোজ্জ্বল বিকেলে তৃতীয় দিনের বইমেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৫
রৌদ্রোজ্জ্বল বিকেলে তৃতীয় দিনের বইমেলা আনন্দ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: যাই যাই করছে শীত। বসন্ত ঋতুর আগমনের আরও দিন-দশেক বাকি থাকলেও ফাগুনের আবহে শুরু হয়েছে তৃতীয় দিনের অমর একুশে গ্রন্থমেলা।



রৌদ্রোজ্জ্বল  বিকেলে বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী ময়দানে তিনটার দিকেই খুলে মেলার দ্বার।

ধূলি নিবারণে এক ‘পশলা’ পানি ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে ভোগান্তিতে পড়তে না হয় দর্শনার্থীদের। এরই মধ্যে মেলায় বাড়ছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়।

তবে মেলার পরিসর বড় হওয়ায় অন্য বারের মতো মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে না। অন্যদিকে রয়েছে অবরোধ-হরতালের আতঙ্কও।

অনেকেই পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে স্বাচ্ছন্দে আসতে পারছেন না প্রাণের এই মেলায়।

একুশে গ্রন্থমেলার তথ্যকেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলার দুয়ার।  

তবে ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলায় আসতে পারবেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এবারই প্রথমবারের মতো বাংলা একাডেমিসহ মোট ১১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মেলায় প্রত্যেকের জন্য  ৪০০ বর্গফুটের প্যাভিলিয়ন দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ১০৬টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে একটি করে ইউনিট, ৯৬ প্রতিষ্ঠানকে ২টি ইউনিট, ৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩টি ইউনিট এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে চার ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাংলা একাডেমির অভ্যন্তরীণ অংশে ৩২টি শিশু-কিশোর প্রকাশনা (লিটল ম্যাগাজিন) প্রতিষ্ঠানকে ৪২টি ইউনিট, ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৪টি ইউনিট, ১৯টি মিডিয়া ও আইটি প্রতিষ্ঠানকে ২০টি ইউনিট এবং ১৭টি অন্যান্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২২টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এবার উন্মুক্ত জায়গাসহ ৭২টি লিটল ম্যাগাজিনকে বর্ধমান হাউজের দক্ষিণ পাশে লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।

ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বই প্রকাশ করেছেন তাদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে রাখা যাবে।

বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই ৩০ শতাংশ ও ‍২০০০ সালের আগপর্যন্ত প্রকাশিত ৭০ শতাংশ কমিশনে বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়া ২৫ শতাংশ  কমিশনে বিক্রি করছে মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো।

বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা জানান, একাডেমি চত্বর এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে বাংলা একাডেমির ৫টি বিক্রয় কেন্দ্র থাকছে মেলায়।

এরমধ্যে একটি স্টলে থাকছে শুধু শিশু-কিশোরতোষ গ্রন্থ। এসব বই প্রকাশও করেছে বাংলা একাডেমি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫

** বইমেলায় মোস্তফা সেলিমের চার বই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।