আজ মেলার দশম দিন। নবম দিন আর দশম দিনের মধ্যে মোটাদাগে পাথর্ক্য করতে গেলে এর উত্তর হবে, পাথর্ক্য একটাই।
মেলায় এসেছিলেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। অনন্যার স্টলে অটেগ্রাফ স্বীকারি ভক্তদের কবলে পড়া এই লেখক মেলা নিয়ে বলেন, দেশের এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মেলা খুব জমে উঠবে তেমন আশা করা ঠিক হবে না। পরিবার, ছেলেমেয়েদের নিয়ে মানুষ বের হতে ভয় পাচ্ছে। এটা আমাদের ভাষার মাস, এই মাসে রাজনৈতিক দলগুলো মিলে যা করলো, তা উচিত হয়নি। বরং রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল, ভাষা শহীদদের সন্মানে এই মাসে কোন রাজনৈতিক কমর্সূচি না দেয়ার। এই মেলাটা আমাদের জাতীয় উৰসবে পরিণত হয়েছে। পাঠক-লেখক-প্রকাশক সবাই সারাবছর অপেক্ষায় থাকে এ মেলার। তাছাড়া এ মাসে আমাদের ছেলেমেয়েদের এসএসসি পরীক্ষা থাকে, তাও হেম্পার হচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক কর্মসূচী যদি না থাকতো তাহলে আমরা খুশি হতাম।
মেলা নিয়ে কথা হয় মিজান পাবলিশার্সের প্রকাশক মিজানুর রহমান পাটোয়ারির সঙ্গে। তিনি জানান, দেশের এমন পরিস্থিতি মেলা যেমন হওয়ার কথা তেমনই হচ্ছে। পরিস্থিতি ভাল না হলে, আশাপ্রদ কিছু দেখছেন না বলেও মনে করেন তিনি।
কথা হয় কবি-টেলিভিশন সাংবাদিক পারভেজ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি মেলা দেখে আশার কথাই বলেন। ‘একটি স্মার্ট-গোছানো মেলা বলতে যা বুঝায়, এবারের মেলা দেখে তাই মনে হচ্ছে। পরিসর বা স্টল বরাদ্ধ সবই সুন্দর। তবে তিনি মনে করেন, এখন যদি এর সঙ্গে বিদেশি প্রকাশনীকেও যুক্ত করা যায়, তাহলে মেলা আর্ন্তজাতিক রূপ পায়। সঙ্গে বিভিন্ন ভাষাভাষি সাহিত্যের সঙ্গে আমাদের সাহিত্যের একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়।
শুরুর প্রাণহীন মেলা সন্ধ্যার দিকে প্রাণময় হয়ে ওঠে। গতকালের সঙ্গে স্পষ্ট পার্থক্য তৈরি করে পাঠক-ক্রেতায় মেলা আঙিনা উৰসবমুখর হয়ে ওঠে। ইতিউতি ঘুরাফেরা রেখে প্রকাশনা স্টলগুলোতে ভিড়তে শুরু করেন। কেনেন বইও।
কথা হয় নটরডেম কলেজের ছাত্র জাবেদের সঙ্গে। মেলা থেকে তার ছোটবোনের জন্য ১০টি বই কিনেন, নিজের জন্য কিনেছে দুটি ভৌতিক গল্পের বই। বই পড়তে সে খুব পছন্দ করে, ফলে প্রতি বছরই নিয়মিত তার মেলায় আসা হয়। জাবেদের মতো এমন অনেককেই দেখা গেলো বই কিনতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫