আলীম আজিজের অনুবাদে আর্জেন্টাইন লেখক এর্নেস্তো সাবাতোর উপন্যাস ‘টানেল’ প্রকাশ করছে ঐতিহ্য প্রকাশনী। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ঐতিহ্য-র স্টলে বইটি পাওয়া যাবে।
এর্নেস্তো সাবাতো (২৪ জুন ১৯১১-৩০ এপ্রিল ২০১১) আর্জেন্টাইন লেখক এবং চিত্রকর। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন লিজিওন অফ অনার, মিগুয়েল দে সেরভেন্তেস পুরস্কার।
এছাড়াও তিনি ছিলেন লাতিন আমেরিকান সাহিত্য জগতের বেশ প্রভাবশালী লেখক। তাঁর মৃত্যুর পর স্পেনের এল পায়েস—তাঁকে উল্লেখ করেন ‘আর্জেন্টিনাইন সাহিত্যের শেষ ধ্রুপদী লেখক’ বলে।
‘এল তুনেল’ (১৯৪৮), ‘সবরে হেরোস ইয়া টুম্বাস’ (১৯৬১), ‘অ্যাবানদন এল এক্সতারমিনাদোর’ (১৯৭৪) তাঁর জগদ্বিখ্যাত তিন উপন্যাস।
বইটি বাংলায় অনুবাদ করা প্রসঙ্গে অনুবাদক আলীম আজিজ বলেন, ‘প্রথম যখন স্প্যানিশে বেরুলো, টানেল নামের এ উপন্যাসটি তখনই জয় করে নিল টোমাস মান ও আলবেয়ার কামু’র প্রশংসা এবং একে বর্ণনা করা হলো অস্তিত্ববাদের এক ধ্রুপদি উপন্যাস হিসেবে।
কিছুকাল আগে নিউইর্য়ক টাইমস বুক রিভিউয়ের এক আলোচনায় এ কথাই আবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। বাস্তবিকই, টানেল বিশ শতকের তুমল প্রসংসিত উপন্যাসের একটি। আর্জেন্টিনার লেখক এর্নেস্তো সাবাতো’র এক গভীর, প্রেম ও মনস্তাত্বিক এ উপন্যাসটিকে বাংলা ভাষায়ও হাজির রাখা দরকার ভেবে অনুবাদ করতে শুরু করি। ’
উপন্যাস সংক্ষেপ: ‘হুয়ান পাবলো কাস্তেল একজন চিত্রকর, এক ছবির প্রদর্শনীতে সে দেখা পায় মারিয়া ইরিবার্নে নামের এক নারীর। তারপর থেকেই তার জীবন আমূল বদলে যেতে থাকে। যত সে মারিয়ার ঘনিষ্ঠ হতে থাকে ততই, এক গভীর কালো সুড়ঙ্গে খাবি খেতে থাকে সে: এসময়েই সে জানতে পারে যাকে, সে প্রেমিকা ভাবছে সে আসলে বিবাহিত, তার স্বামী একজন ধন্যাঢ্য অন্ধব্যক্তি, সে জানতে পারে আগেও তার এক প্রেমিক ছিল যে, তীব্র বিরাগে আত্মহত্যা করেছে...
বিক্ষিপ্তমনা কাস্তেল যত মারিয়ার এসব অজানা কথা আমলে নিতে থাকে ততই মারিয়ার প্রতি তার দখলি মনোভাব তীব্র হতে থাকে, তীব্র হতে থাকে তার ঈর্ষাবোধ, প্রেম...যে কারণে উপন্যাসের প্রথম বাক্যই শুরু হয়েছে মহা বির্পযের এক খবর দিয়ে: জেলখানা থেকে হুয়ান পাবলো কাস্তেল বর্ণনা করছে এই অসামান্য কাহিনি। ’
উল্লেখ্য, বই হিসেবে প্রকাশের আগে বাংলানিউজের শিল্প-সাহিত্য বিভাগে উপন্যাসটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫