ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

‘মেলায় প্রবেশের রাস্তা রুচিসম্মত না’

শিল্প-সাহিত্য প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫
‘মেলায় প্রবেশের রাস্তা রুচিসম্মত না’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-য় শুদ্ধস্বর থেকে প্রকাশিত হয়েছে শামীম রুনার তৃতীয় গল্পগ্রন্থ ‘নয়নতারা’। এর আগে ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ঐরাবত বিষয়ক মানবিক জটিলতা’ এবং ২০১৪ সালে দ্বিতীয় গল্পের বই ‘এক চাঁদের আলোয় সব অন্ধকার মুছে যায় না’।



১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মেলা প্রাঙ্গণে গল্পকার শামীর রুনার সঙ্গে তাঁর সদ্য প্রকাশিত বই, লেখালেখি ও বইমেলা প্রসঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের ।

তিনি জানান, তিনটি গল্পের বই ছাড়াও একটি কিশোর উপন্যাস ও একটি শিশুসাহিত্য বিষয়ক বই রয়েছে তাঁর। এরমধ্যে কিশোর উপন্যাস ‘টমবয় নিশো ও তার বন্ধুরা’  প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে। এবং শিশু সাহিত্য ‘গান নামের মেয়েটি’ বের হয়  দু’ বছর আগে।

নতুন প্রকাশিত বইটিতে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন সময়ে লেখা নির্বাচিত ১০ টি গল্প। শামীম রুনা বলেন, নয়নতারা বইয়ের পাঁচটি গল্প ২০১৪ সালে এবং অন্য পাঁচটি গল্প ১৯৮৭ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে লেখা। কিছু গল্প সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন দৈনিকসহ একটি গল্প ১৯৮৭ সালের লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল। ’

আগের বইগুলোর সঙ্গে এ বইটির মিল বা পার্থক্যের জায়গাগুলো কী—জানতে চাইলে তিনি বলেন, পার্থক্য রয়েছে কিছুটা। সাধারণত আমি গল্পের বিষয়বস্তু পারিপার্শ্বিক সামাজিক-পারিবারিক বাস্তবতা থেকে সংগ্রহ করি, তাই আমি মনে করি সময় অতিক্রম করে আমার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং লেখার ধরণ পরিবর্তন এসেছে। আর সে পরিবর্তন আমার লেখাকে কিছুটা হলেও সমৃদ্ধ করেছে, তার ছাপ আমার লেখায় পাঠক পাবে বলে আমার ধারণা। ’

নয়নতারা বইটির গল্পগুলো সম্পর্কে শামীম রুনা বলেন, মানুষের সম্পর্কের ভাঙা-গড়া, প্রতীক্ষা, মানসিক বিচ্ছেদ ও দ্বৈতসত্তার উচাটন—ইত্যাদি বিষয়ের মানবিক দলিল।

বইমেলায় এসে কেমন লাগছে, প্রথম কোন বছর বইমেলায় এসেছিলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, বইমেলায় আসা হয় সেই ৮৯-৯০ সাল থেকে। তখন আসতাম বই কেনার জন্য, আড্ডা দেয়ার জন্য আর বিখ্যাত লেখকদের সামনাসামনি দেখার জন্য।

এবারের বইমেলা কেমন দেখছেন, অন্যান্যবারের সঙ্গে কোনও পার্থক্য আছে কি?

‘এবার মেলায় জায়গা বিস্তৃত হলেও স্টল বিন্যাস এলোমেলো হয়েছে। স্থপতি ও শিল্পীদের যুক্ত করে স্টল বিন্যাস করলে এমনটি হতো না। খাবার পানি আর টয়লেটের ব্যবস্থা খুবই অস্বাস্থ্যকর।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তাছাড়া মেলায় প্রবেশের রাস্তাও রুচিসম্মত না। মেলার কোনও আউটলুক নেই। আমার মনে হয় মেলা দুইপাশে না রেখে এক চত্বরে রাখলেই পাঠকদের জন্য সুবিধাজনক হবে।

কৃষ্ণ দ্বৈপায়নের প্রচ্ছদে ১২৪ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ২৪০ টাকা। বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে শুদ্ধস্বরের স্টল এবং অনলাইনে বই বিক্রিকারী প্রতিষ্ঠান রকমারি.কম থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।