ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

কেউ মনে রাখেনি আমার দীপনকে

সৈয়দ ইফতেখার আলম, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৬
কেউ মনে রাখেনি আমার দীপনকে ছবি: দীপু মালাকার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: রাজধানীর শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কেউ মনে রাখেনি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তার বাবা আবুল কাসেম ফজলুল হক।

বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রন্থমেলার সোহর‍াওয়ার্দী উদ্যানে জাগৃতি প্রকাশনীর স্টলে এসে তিনি এ আক্ষেপ প্রকাশ করেন।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের সাবেক এ অধ্যাপক বলেন, মেলা শুরু হয়েছে আজ তিনদিন। এর মধ্যে কেউ তো দীপনের কথা বলেননি। বিশাল অনুষ্ঠান হচ্ছে প্রতিদিনই। এর মধ্যে কেউ তো দীপনের কথা বলছেন না! কেউ তো স্মরণ করছেন না। কেউই মনে রাখেননি।

তিনি বলেন, আমরা তো শুধু বিচার নয়, চাই এমন হত্যাকাণ্ড যেন আর না ঘটে।

অধ্যাপক আবুল কাসেম বলেন, দীপন মারা গেছে, এটা আমাদের পারিবারিক শোক। এর কোনো পূরণ নেই আমাদের কাছে। কিন্তু জাতির স্বার্থে দীপনকে স্মরণ রাখা উচিত, হত্যার বিচার হওয়া উচিত। সরকারকে অনুরোধ করবো এ বিষয়টি দেখতে। ভুললে চলবে না।

সমাজ থেকে মৌলবাদ দূর করতে সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি এতো সহজ নয়, সরকারকে আন্তরিক হয়ে এটি নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। সত্য বের করতেই হবে। কিন্তু আমাদের দেশে তো প্রগতির নামে ব্যবসা চলছে, এখন সমাজে প্রগতিশীলতা কোথায়।

তিনি আরও বলেন, সরকারকে স্বাধীন নীতিতে চলতে হবে। শুধু পদ্মাসেতুতেই স্বাধীন নীতি নয়, প্রতিটি কাজে চাই নিজস্ব স্বাধীন নীতি। তাহলেই মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না। মুক্তবুদ্ধির চর্চাও হবে সুন্দরভাবে।

এসময় তিনি মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারীদের মার্কিন সামরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লেখার পরামর্শ দেন। বলেন, কারও অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে নয়, সমাজের অস্থিরতা দূর করতে লেখা চালিয়ে যেতে হবে।

জাগৃতির পুরো স্টলজুড়ে শোকের আবহ। দীপন না থেকেও আছেন প্রতিটি বইয়ের স্পর্শে। রক্তমাখা কলমদানিটি কাচঘেরা। মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে দেখতে থাকা কবিতার রক্তমাখা পাণ্ডুলিপিটি রাখা তাকে।

সব মিলিয়ে জাগৃতির স্টলজুড়ে যেন শুধুই শোক, শুধুই এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬
আইএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।