ঢাকা: একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে প্রতিশ্রুতিশীল কবি, ঔপন্যাসিক ও আলোকচিত্রী বরুণ কুমার বিশ্বাস-এর তিনটি বই। এর মধ্যে দু’টি উপন্যাস ও একটি কাব্যগ্রন্থ।
বইগুলো হলো- স্বীকৃতিহীন অপরাজিতা, দেবতার সাথে ছলচাতুরী ও অথচ আছি নিখোঁজের বেশে।
‘স্বীকৃতিহীন অপরাজিতা’ উপন্যাসটি রাজধানীর তথাকথিত আধুনিক জীবনে সম্পর্কের টানাপড়েনের গল্প। যেখানে অর্পিতার স্বামী পারভেজ অন্য নারীর প্রতি আসক্ত। অর্পিতার ধারণা ওরা গোপনে বিয়েও করেছে। কথায় কথায় পারভেজ ওকে মারধর করে। অথচ একদিন ওরা ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলো।
আর ‘দেবতার সাথে ছলচাতুরী’ উপন্যাসটির উপজীব্য যমুনা তীরবর্তী একটা প্রাচীন বটগাছের গোড়ায় কুড়িয়ে পাওয়া একটা অনাকাঙ্ক্ষিত শিশু ও এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে। জন্মের পরপরই শিশুটিকে ‘বটেশ্বরের আসন’ হিসেবে পরিচিত প্রাচীন বটগাছের গোড়ায় কে বা কারা যেন ফেলে যায়। ঘটনাচক্রে তাকে পেয়ে যায় জেলে সরদার রাখাল রাজা। আশ্রয় মিললেও ‘বেজন্মা’ তকমাটা শিশুর অদৃষ্টের লিখন হয়ে দাঁড়ায়। এ বইয়ে ঔপন্যাসিক তার লেখনির মাধ্যমে যমুনা নদীর ভাঙন-প্রবন এলাকার মানুষগুলোর জীবন তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
আর ‘অথচ আছি নিখোঁজের বেশে’ লেখকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। দিকভ্রান্ত প্রজাপতি কিংবা জীবাশ্মের মতো যাপিত জীবন কখনও কখনও চিত্রকল্পের কণ্ঠস্বরে উচ্চারিত হয়। মানব জীবনের বিভিন্ন আবেগ-অনুভুতি ও না বলা কথাগুলোই এ গ্রন্থের কবিতাগুলোয় উঠে এসেছে।
বই তিনটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা মূর্ধন্য। বইমেলায় মূর্ধন্য’র স্টল নং ৩৪৯-৩৫০।
১৯৮৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাবনার সাঁথিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন বরুণ কুমার বিশ্বাস। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার ও আলোকচিত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৬
আরএইচ