অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: ‘পুলিশের পোশাক গায়ে কয়েকজন নারী-পুরুষ বিক্রি করছেন বই, পাঠককে জানাচ্ছেন নতুন বইয়ের নানা তথ্য। পুলিশ হয়েও কোনো পুলিশি সেবা নয়, এখানে তারা শুধুই বই বিক্রেতা’।
মেলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) স্টল ঘুরে বাংলানিউজকে এমনই কথা বললেন পাঠক ইয়াসির আরাফাত। তিনি বলেন, ‘কাজের মধ্যেও পুলিশ যে লিখতে পারে, এটি জানা ছিল না। স্টল ঘুরে দেখলাম, সবই পুলিশ লেখকদের বই। সামান্য সময়ে অল্প-স্বল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এখান থেকে বেশ কিছু বই নেবো বলে মনে করছি’।
মেলায় পাঁচ বছর ধরে স্টল সাজাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত পুলিশ লেখকদের বইয়ের সমন্বয়ে স্টলটির তাক ভরেছে। তাদের কাছে রয়েছে ২০০টির বেশি বই। যার মধ্যে এ বছরের নতুন বইয়ের সংখ্যা ১৬টি। যা ২৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে। তবে আইনের বইয়ে রয়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাতজন মিলে স্টলে কাজ করছি। আমি ছাড়াও রয়েছেন একজন পরিদর্শক, তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আর দু’জন নারী কনস্টেবল। এছাড়া শুক্র-শনিবার দু’জন নারী কনস্টেবল স্টলে অতিরিক্ত দায়িত্ব পান। এটি বিক্রেতা হিসেবে নয়, আমাদের বিশেষ দায়িত্ব’।
পুলিশের স্টল বইমেলায় পাঠককে কি জানাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, আমাদের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্যই মেলায় আসা। পুলিশ যে জনগণের বাইরে নয় এবং তাদের বন্ধু এটাই আমরা জানাতে চাই। এছাড়া আমাদের মধ্যেও রয়েছে মানবিক গুণাবলী, লেখার সৃজনশীলতা- সেটা বোঝানোই বড় কথা।
‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টলে মানুষের জটলা রোজই দেখা যাচ্ছে। শুক্র-শনি বা ছুটির দিন হলে এ ভিড় আরও বাড়ে। সাধারণ দিনে বিক্রি ১২/১৩ হাজার টাকার মতো। আর ছুটির দিনে তা গিয়ে ঠেকে ২৭/২৮ হাজার টাকায়’- যোগ করেন এসআই জাহাঙ্গীর।
স্টল ঘুরে আরও জানা গেছে, এ কে এম শহীদুল হকের ‘সমাজে পুলিশ এবং কমিউনিটি পুলিশিং’ বইটি বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
আইএ/এএসআর