বইমেলা থেকে: বইমেলায় ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত হয়েছে শিক্ষক, গবেষক ড. সুলতানা জেসমিনের গবেষণাগ্রন্থ ‘বাংলাদেশের শিক্ষানীতি ও নারীশিক্ষা’।
এর আগে ২০১৩ সালে ধ্রুবপদ থেকে বেরোয় তার প্রথম গবেষণাগ্রন্থ ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন সংকট’।
এটি লেখকের মৌলিক গবেষণামূলক পিএইচডি অভিসন্দর্ভের গ্রন্থরূপ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়কালে ক্ষমতাসীন সরকারগুলো দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী অর্থাৎ নারীদের শিক্ষার মূলধারায় আনয়নের জন্য কী ধরনের নীতি গ্রহণ করেছিল— সেসবই উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে গবেষণাপত্রে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এমরান জাহানের তত্ত্বাবধানে গবেষণাকর্মটি সম্পন্ন হয়।
বইটি সম্পর্কে জানতে চাইলে সুলতানা জেসমিন বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম অধিকার হলো শিক্ষা। মানবসভ্যতা বিনির্মাণে পুরুষ ও নারীর অবদান বহুমুখী এবং বৈচিত্র্যময়। তা সত্ত্বেও সমাজ পরিবর্তন ও বিবর্তনের সাথে সাথে এদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি শুরু হয়। আর এ বিভেদের অন্যতম প্রধান নিয়ামক হলো শিক্ষা, যার অনুপস্থিতিতে নারীর ব্যক্তিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, আর্থিক ক্ষেত্রগুলো সংকুচিত ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে একদমই অনুপস্থিত লক্ষ্য করা যায়। শিক্ষা মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিকে বিকশিত করে, নিজের অস্তিত্বকে সম্মান করতে শেখায়। মানব সমাজের উন্নয়নে তাই শিক্ষাকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, প্রতিটি সরকারই নারী শিক্ষা বিষয়ে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে বইয়ে। নারী শিক্ষার প্রসার, উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নে ইউনেস্কোর ঘোষণা ‘ÔEducate a woman you educate a nation’-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকারগুলো নারী শিক্ষায় যেসব কৌশল অবলম্বন করেছে তার সুস্পষ্ট বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষানীতি ২০১০ চলমান রয়েছে। কাজেই এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখনো প্রক্রিয়াধীন। বাংলাদেশের নারী শিক্ষার প্রসার ও নারীর ক্ষমতায়নে এ প্রক্রিয়ার সফল বাস্তবায়ন ঘটবে এ প্রত্যাশা নিয়ে গবেষণা কর্মটি সম্পন্ন করা হয়েছে। এরূপ একটি গ্রন্থ প্রকাশের জন্য প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য’র আরিফুর রহমান নাইমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের শিক্ষানীতি ও নারীশিক্ষাসহ ঘরে বসে বইমেলার যেকোন বই পেতে ভিজিট করুন rokomari.com-এ। অথবা কল করুন 16297 নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
টিকে/এএ