ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

অষ্টম দিনেও কবিতার বই বেশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
অষ্টম দিনেও কবিতার বই বেশি অমর একুশে গ্রন্থমেলা/ছবি: বাদল

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলার অষ্টম দিনে নতুন বই এসেছে ১০৯টি। এরমধ্যে ১৪টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। প্রথম সাতদিনের মতো বুধবারও মেলায় আসা বইয়ের মধ্যে বেশিরভাগ কবিতার বই।

প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে গল্পের বই রয়েছে ১৬টি, প্রবন্ধ ৫টি, কবিতার বই ২৪টি, গবেষণা গ্রন্থ ২টি, ভ্রমণ ৪টি, ইতিহাস ২টি, চিকিৎসা ১টি, রম্য ১টি, শিশুসাহিত্য ৫টি, জীবনী গ্রন্থ ১টি, অনুবাদ গ্রন্থ ১টি, সায়েন্স ফিকশনের বই ১টি, বিজ্ঞানের বই ৩টি এবং অন্যান্য বই ১৬টি।

৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলা একাডেমির নিজস্ব স্টলে বিক্রি হয়েছে ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৫২৮ টাকা।

 

বুধবার  (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সরদার জয়েন উদ্দীনের জন্মশতবার্ষিকী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস, অধ্যাপক বায়তুল্লাহ কাদেরী, সরদার জয়েন উদ্দীনের পুত্র জ্যোতি জয়েন উদ্দীন এবং মোবাশ্বিরা ফারজানা মিথিলা। সভাপতিত্ব করেন ড. মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন।

সরদার জয়েন উদ্দীন : জীবনদর্শন ও সাহিত্যিসাধনা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, বিভাগ-পরবর্তীকালে ঢাকা কেন্দ্রিক কথাসাহিত্যের ভ‍ূবনে একটি উজ্জ্বল ও বিশিষ্ট নাম সরদার জয়েন উদ্দীন। বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে, ভাষা ও সংস্কৃতির ক্রান্তিকালে, বাংলা সাহিত্যে তার দীপ্র আবির্ভাব।

তিনি বলেন, সাংবাদিকতা এবং সাহিত্যের জগতে সরদার জয়েন উদ্দীন সর্বদা ছিলেন প্রগতির পক্ষে, মানবতার পক্ষে। একসময়, পঞ্চাশ-ষাটের দশকে, ঢাকার সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চায় অবশ্য উচ্চার্য নাম ছিল সরদার জয়েন উদ্দীন, কিন্তু পরিবর্তমান রুচি ও সমাজ স্রোতে এখন তিনি প্রায়-বিস্মৃত এক নাম। তবে যারা সৎ পাঠক, তাদের চেতনায় জয়েন উদ্দীন সর্বদা জেগে থাকবেন। কেননা তার সাহিত্যে আছে গণমানুষের মুক্তি-আকুতির কথা।

আলোচকবৃন্দ বলেন, সরদার জয়েন উদ্দীন বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে এক উজ্জ্বল নাম। এদেশের গ্রাম-সমাজ, বিচিত্র পেশাজীবী মানুষ তার গল্প ও উপন্যাসে ফুটে উঠেছে গভীর পর্যবেক্ষণে, সুনিপুণ শিল্প-আঙ্গিকে এবং দরদী ভাষায়।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন বলেন, সরদার জয়েন উদ্দীন বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়ার মতো লেখক নন। তিনি আমাদের সাহিত্যের পথিকৃৎ লেখকদের একজন। এদেশের কথাসাহিত্যে মাটি ও মানুষের কথা সবলভাবে সঞ্চার করে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন, থাকবেন শতবর্ষ পেরিয়েও।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নাদিরা বেগম, আবুবকর সিদ্দিক, আজগর আলীম এবং শফিউল আলম রাজা। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন গৌতম মজুমদার (তবলা), মো. মনিরুজ্জামান (বাঁশি), সুমন কুমার শীল  দোতারা) আবদুস সোবহান (বাংলা ঢোল)।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এমএন/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।